Saturday, February 22, 2014

তথ্যসন্ত্রাসঃ বিশ্বজিতের খুনিরা ছাত্রলীগের কেউ নয়: মহীউদ্দীন খান আলমগীর

বিশ্বজিতের খুনিরা ছাত্রলীগের কেউ নয় : মহীউদ্দীন খান আলমগীর















পুরান ঢাকার জজকোর্ট এলাকায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত পথচারি বিশ্বজিত দাসের খুনিরা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয় বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর।

আজ (মঙ্গলবার) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার ও জামায়াত বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিরোধে করণীয়’-শীর্ষক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ দাবি করেন। মহীউদ্দীন খান আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, বিশ্বজিত হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেননি মন্ত্রী।

মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, বিশ্বজিত হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বাইরে বাকীদেরও গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া গেছে।
মন্ত্রী দাবি করেন, “বিশ্বজিত হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের কেউই ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত নন। যাঁরা আছেন, তাঁরা ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত।”
এ সময় তিনি বিশ্বজিত ছাত্রলীগের ‘তথাকথিত কর্মী’ বলে দাবি করেন। এর আগে নিহত বিশ্বজিতের বড় ভাই উত্তম কুমার দাস সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, দুর্বৃত্তরা বিশ্বজিতকে ছাত্রদলের কর্মী মনে করে কুপিয়েছে। বিশ্বনাথ কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন বলেও তিনি দাবি করেন।

গত রোববার ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ চলাকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যাম্পাস থেকে মিছিল বের হয়। তারা দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল নিয়ে অবরোধের সমর্থনে বের হওয়া আইনজীবী সমিতির মিছিলে হামলা চালায়। এ সময় বিশ্বজিতকে দৌড়াতে দেখে তাকে পাকড়াওয়ের নির্দেশ দেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতা। তাদের নির্দেশ পেয়ে ২০-২৫ জন রড, চাপাতি ও চাকু নিয়ে বিশ্বজিতের পিছু নেয়। বিশ্বজিত জীবন বাঁচাতে আশ্রয় নেন ভিক্টোরিয়া পার্কের উত্তর পাশে জনসন রোডে অবস্থিত একটি মার্কেটে। সেখানে হামলাকারীরা রড দিয়ে পেটাতে থাকলে তিনি দৌড়ে দোতলার ইনটেনসিভ ডেন্টাল কেয়ারে আশ্রয় খোঁজার চেষ্টা করেন। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা সেখানেই তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। নির্যাতন সইতে না পেরে বিশ্বজিত তাদের পা জড়িয়ে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন। কিন্তু তারপরও তাকে আঘাত করতে থাকে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।

হত্যাকারীদের পরিচয়, ছবি এমনকি ভিডিও ফুটেজও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এবং প্রচারিত হয়েছে। এরপরও পুলিশ ২০ থেকে ২৫ জনকে ‘অজ্ঞাত’ দেখিয়ে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেছে।

উল্লেখ্য, ঘটনার রাতেই নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে গেলে পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দিয়েছে।# 

No comments:

Post a Comment