Friday, February 14, 2014

২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ হত্যাঃ মিডিয়ার ছবি-ভিডিও!!


ওপরের ছবিটি মুজাহিদের। মুজাহিদ ছিলেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্র। আর  ফয়সাল ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের, হাফেজ শিপন ছিলেন ঢাকা কলেজের ফিজিক্সের আর মাসুম ছিলেন সরকারী তিতুমীর কলেজের ছাত্রযাদের ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিনা অপরাধে শুধু রাজনৈতিক কারণেই হত্যা করা হয়। 



২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ছাত্রলীগ-আওয়ামীলীগের কর্মীরা নৌকায় ব্যবহৃত লগি-বৈঠার দ্বারা প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার ওপর পিটিয়ে স্পটেই মেরে ফেলে মুজাহিদসহ ৭/৮জনকে। এ ঘটনার ভিডিও-ছবি টিভি, অনলাইন মিডিয়াসহ পত্রিকার খবরে বিশ্ববাসী জেনেছে ও দেখেছে। এরকম দৃশ্যও যে দেখতে হতে পারেআমার তা কল্পনাও ছিল না। 


এদের ওপর চতুর্দিক হতে একের পর এক লাঠির ঘা পড়ছিলসাপ মারার মতোই মুহূর্তেই এদের পিটিয়ে মেরে ফেলা হলো পুলিশের চোখেরই সামনেই। বাংলাদেশের পুলিশ সন্ত্রাসীর সহযোগী হিসেবে না করলো প্রতিরোধ আর না আটকালো আওয়ামী-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের।


আমাদের দেশটা কতই না সুন্দর! কত না সম্ভাবনাময় আমাদের অথচ রাজনৈতিক দলের কর্মীরা কতই না নির্মম-নিষ্ঠুর, যা ভেবেই পাইনা!! ৪ দশক পরও আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা কী? আমার সোজা উত্তর হবে, জাতিকে বিভক্তি আর বিদ্বেষ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশটাকে পিছিয়ে দেয়া। অপরকেঅপরের মতামতকে বা রাজনৈতিক মতপার্থক্যকে সহ্য করতে না পারার ঘৃণ্য ও অগণতান্ত্রিক মানসিকতা। আসলে এদেশে দুটি জিনিসের ব্যবসায় খুব ভালোই চলে- একটি ধর্ম নিয়ে ,আরেকটি দেশের স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কারো কারো রীতিমত ব্যবসায়।



দেশের মধ্যে যখন বিভক্তি কাজ করে, রাজনীতির নামে চলে সন্ত্রাস আর দেশ পেছানোর মতো আত্মঘাতি কাজ-কারবার, তখন সেদেশকে নিয়ে বিদেশী শক্তিদের খেলা করা সহজ হয়ে যায়ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, মিশর, সিরিয়াসহ অনেক মুসলিম দেশই তার নির্মম সাক্ষী।

ইউটিউব ভিডিও১ 

তাই আসুনআমরা যে বিশ্বাসকেই লালন করি না কেন পরস্পরকে শ্রদ্ধা করতে শিখি। সুন্দর দেশ গড়ি  যাতে আর ২৮ অক্টোবরের জন্ম হতে না পারে। শিক্ষাঙ্গনেও যেন আর সন্ত্রাস না ঘটে, সে ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।

No comments:

Post a Comment