Wednesday, February 19, 2014

যৌনকেলেঙ্কারিঃ বিতর্কিত জাবির সেই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ

বিতর্কিত জাবির সেই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কারের সুপারিশ


শীর্ষ নিউজ ডটকম, জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সেই বিতর্কিত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশারফ হোসেন হলের ১১০ নং কক্ষে মেয়েসহ আটকের অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহিতোষ রায় (টিটো) এবং শিক্ষকের গাঁয়ে হাত উঠানোর অভিযোগে ছাত্রলীগের গ্রন্থণা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক  মামুন খানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের নিকট এই সুপারিশ করেছে ছাত্রলীগ জাবি শাখা । বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় জাবি শাখা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে।

সভায় জাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি এবং সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল স্বাক্ষরিত এক সুপারিশপত্রে তিনটি সুপারিশ করা হয়।

এগুলো হলো সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশারফ হোসেন হলের কক্ষে মেয়েসহ অবস্থানের বিষয়টি নিয়ে জাবি শাখা ছাত্রলীগ নেতা মহিতোষ রায়ের (টিটো) নাম জড়িয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়ায় যে সংবাদগুলো পরিবেশিত হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে সংগঠনটির ভাবমূর্তি খুন্ন হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্তকালীন সময়ে তদন্তের স্বার্থে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় সংসদের নিকট প্রেরণ, জাবি শাখা ছাত্রলীগের গ্রন্থণা ও প্রকাশনা সম্পাদক মামুন খান বিভাগীয় ঘটনায় প্রশাসন কর্তৃক বহিষ্কৃত হওয়ায় এবং তার ছাত্রত্ব না থাকায় তাকে জাবি ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় সংসদের নিকট সুপারিশ করা এবং শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে এরূপ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ঘোষণাপত্র অনুযায়ী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের নির্দেশনা জারি। এছাড়া যেসকল ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে এ ধরনের ৩০ জন নেতাকর্মীকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

ছাত্রলীগর সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি বলেন, ‘সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষু্ন্ন হয় এমন কোনো কার্যকলাপে কেউ যুক্ত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল বলেন, ‘যে অন্যায় করবে তাকে শাস্তি পেতে হবে। কোনো অন্যায়কারীর আশ্রয় ছাত্রলীগে নেই’।

উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় মীর মোশারফ হোসেন হলের ১১০ নম্বর কক্ষে তল্লাসি চালিয়ে ঢাবির এক ছাত্রীসহ১ (ফিন্যান্স, ৩য় বর্ষ) জাবি শাখা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহিতোষ রায়কে (টিটো) আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতা ১১০ নং কক্ষে নয় বরং গেস্টরুমে ওই মেয়ে ছিল বলে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে জানান তিনি। ছাত্রদের আবাসিক হলে তরুণীসহ ঐ ছাত্রলীগ নেতা আটকের ঘটনা শীর্ষনিউজসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা এবং অনলাইনে প্রকাশিত হয়। পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অযোগ্য হওয়ায় পরীক্ষায় দেয়ার অনুমতি অনুমতি না দেয়ায় গত ২৩ জানুয়ারি  জাবি শাখা ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের স্নাতক কোত্তর শিক্ষার্থী মামুন খান একই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক  ড. গোলাম মঈনুদ্দিনের গায়ে হাত উঠান এবং তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের পাশাপাশি আজীবন বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করে।

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ঐ দুই ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কারের সুপারিশ করে শাখা ছাত্রলীগ।

শীর্ষ নিউজ ডটকম/প্রতিনিধি/একেএ
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

সুত্র১ : শীর্ষ নিউজ ডট কম 
========================================================================
জাবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মোশারফ হোসেন হলে ছাত্রলীগ নেতার কক্ষ থেকে এক মেয়েকে উদ্ধার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মহিতোষ রায় টিটো। তিনি জাবি শাখা ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক। এ ছাত্রলীগ নেতা মেয়েটিকে নিয়ে সোমবার দিবাগত রাতে হলের ১১০ নং কক্ষে অবস্থান করছিলেন বলেও জানা গেছে। তবে মেয়েটির সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা জানা যায়নি। 

হল প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে এক মেয়েকে নিয়ে মীর মোশারফ হোসেন হলের নীচ তলার ১১০ নং কক্ষে ছাত্রলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহিতোষ রায় টিটো অবস্থান করছিলেন। বিষয়টি জানতে পারে হল প্রশাসন। রাত আড়াইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হলের প্রভোস্ট, আবাসিক শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে মেয়েটিসহ ছাত্রলীগ নেতা মহিতোষ রায় টিটোকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আটককৃত মেয়েটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। আটকের পর মেয়েটির ব্যাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র পাওয়া যায়। তবে মেয়েটি সত্যিই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী কি না সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি জাবি কর্তৃপক্ষ।  ঐ রাতেই মেয়েটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অফিসারের বাসায় রাখা হয় এবং মঙ্গলবার সকালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

 এ ব্যাপারে ঐ হলের আবাসিক শিক্ষক মাহমুদুর রহমান বলেন, আমরা খবর পেয়ে সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ১১০ নং কক্ষে গিয়ে ওই মেয়েকে উদ্ধার করি। ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদুর রহমান জনি শীর্ষনিউজকে বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। এমন ঘটনা শুনিনি। খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেল শীর্ষনিউজকে বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। ঘটনা সত্যি হলে সাংগাঠনিকভাবে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হলের একজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, আটককৃত ছাত্রলীগ নেতা প্রায়ই তার কক্ষে বিভিন্ন মেয়েদের নিয়ে রাত যাপন করতেন।
সুত্র১: নিউজ1বিডি.কম 

No comments:

Post a Comment