Saturday, February 22, 2014

ছাত্রলীগের সন্ত্রাস: ছাত্র রাজনীতি বন্ধ নয়, রাশ টেনে ধরার এটাই শ্রেষ্ঠ সময়


শিক্ষা,শান্তি, প্রগতি ছাত্রলীগের মূলমন্ত্র।

এই মন্ত্রে দীক্ষিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ স্বাধীনতার পর সকল আন্দোলনে বিশেষ করে ১৯৮২-১৯৯০(মাঝে কিছু সময় ছাড়া) স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ঢাকসুর প্রাক্তন ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরের নেতৃত্বে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আন্দোলন ছাড়াও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দলটি রাজপথে ছিল দৃপ্ত-কণ্ঠ, আগুয়ান!

স্বাধীনতার স্বপক্ষের, গণতন্ত্র-মনা, প্রগতিশীল সকল দলের সাথে পাশাপাশি সহ-অবস্থান করে দলটি তৃনমূল পর্যায়ে অত্যন্ত সংঘটিত হয়েছে।

মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগের ঘৃণিত কর্মকাণ্ড দেখে উপরের কথাগুলো ইতিহাস থেকে টেনে না এনে উপায় ছিলনা।


"কিছুদূর পথ চলে সবাই এক এক করে বিচলিত হলেন। কেউ গাছেরটা খেলেন আবার তলারটা কুড়ালেন...একবার বললেন আধার ভালো, আবার বললেন আলোও ভালো.."


যাকেই জিজ্ঞেস করবেন চোখ বন্ধ করে সে বলে দেবে ছাত্রলীগ মানে হলো ধর্ষণের সেঞ্চুরি , বাধনের সম্ভ্রম, ইডেন কলেজের মেয়েদের পতিতা বৃত্তিতে বাধ্য করা, বিতর্কিত করা, টেন্ডার বাজি, চাঁদাবাজি, হত্যা, বিবদমান দুই গ্রুপের কোন্দলে খুনের উল্লাসে মত্ত একটি দল!


আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগেও এরা লজ্জিত নয়! মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর তাঁর মন্ত্রণালয়ের পুলিশের নাকের ডগায় বিরোধীদলের কর্মীদের মারধর, হল দখল, রাজপথ, ফুটপাথ থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু জবর-দখল প্রশাসনের নির্লিপ্ততার কথা দেশের মানুষের কাছে এদের নতুন রূপে পরিচিত করেছে। "সোনার ছেলে" নামে এখন সবাই চেনে !


আজকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, BUET, KUET এর ঘটনায় যখন সারা দেশে তোলপাড়, নিন্দার ঝড় চলছে ঠিক তখনই JU তে পরীক্ষার হল থেকে তুলে নিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করা হলো জোবায়েরকে! যোবায়ের হত্যায় সারাদেশের মানুষ নির্বাক! সারাদেশের মানুষ এদের আচরণে বীতশ্রদ্ধ।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের গড়া দল জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ছাত্র নামধারী মুষ্টিমেয় কিছু কুলাঙ্গার এসে মাড়িয়ে দিয়ে যাবে আমরা কি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব? না এদের লাগাম টেনে ধরব?


"সব কিছু ছক করা আছে. নীল নকশার জাল ছড়িয়ে আছে. দেশজ বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের প্রলুব্ধ, বিভ্রান্ত ও বিপথ গামী করার আশ্চর্য সুন্দর পরিকল্পনা ভালো ভাবে বিন্যাস করা আছে। সেই সুগভীর পরিকল্পনার আবর্তের মধ্যে ঢুকতে বাধ্য জাতীয় নেতারা। যদি না ঢোকে তবেই মৃত্যু অনিবার্য। মৃত্যুর কমে বড় শক্তি কখনই সন্তুষ্ট হয় না।"


"বাংলাকে, বাঙালিকে, বাংলার পূর্ণ ইতিহাসের মহিমাকে এখন চিনে নিতে অনেক সাধ্য সাধনা দরকার। শেখ মুজিব যাকে হৃদয় দিয়ে বুঝেছিলেন এখন তাকেই বুদ্ধি ও মেধা দিয়ে বুঝতে হবে। কাজটি অতি জটিল আর সহিষ্ণুতা ও সংযম প্রত্যাশী.....সে আশ্রয়কে মজবুত ও সংহত করবে কে?

আমি করব,তুমি করবে,সে করবে। করতেই হবে। নাহলে পুনরায় অন্ধকার ছুটে আসবে। আবার সিঁড়িতে উঠানে ও গৃহকোণে রক্ত গড়িয়ে পড়বে। সে রক্তের পরিমাপ করতে আবার অনেক দেরী হয়ে যাবে......"

No comments:

Post a Comment