সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৩ |
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত শনিবার ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে ছাত্রদল ও শিবিরের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হলেও নেই ছাত্রলীগের কারও নাম। এমনকি, সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের যে নেতাকে পিস্তল হাতে গুলি করতে দেখা গেছে, তাঁর নামও নেই।
বিশ্ববিদ্যালয় থানা সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের ঘটনায় শনিবার রাতে মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মসলেম উদ্দিন। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের এ মামলায় ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলামসহ ছাত্রদল ও শিবিরের অজ্ঞাতনামা দুই শতাধিক নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সুষ্ঠুভাবে মামলা তদন্তের চেষ্টা চলছে, তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’শনিবারের সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের এক নেতাকে পিস্তল হাতে গুলি করার ছবি গতকাল রোববার প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়ের করা মামলায় ওই নেতার নাম নেই। ছাত্রলীগের অন্য কোনো নেতা-কর্মীর নামও ওই মামলায় নেই বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি মনিরুজ্জামান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী ওই নেতার নাম সজিবুল ইসলাম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সাংগঠানিক সম্পাদক ছিলেন। বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির তিনি যুগ্ম আহ্বায়ক। আইন বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র সজিবুলের বাড়ি কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায়। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের সময় তিনি পুলিশের শটগান কেড়ে নিয়েছিলেন। সেই ছবি পরদিন ছাপা হয়েছিল প্রথম আলোয়। কিন্তু সে সময় ওই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ‘জানুয়ারি মাসের ঘটনায় কোনো মামলা হয়েছিল কি না, জানি না। ফাইল দেখে বলতে পারব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, প্রশাসন ভবন ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। গোলাগুালি ও অস্ত্রের মহড়ায় কোনো মামলা করা হয়নি। রোববার গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিগুলো কপি করে পুলিশকে দেওয়া হবে। পুলিশ সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আর ১৭ জানুয়ারির ঘটনায় মামলার ব্যাপারে কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেন প্রক্টর।
No comments:
Post a Comment