Wednesday, February 19, 2014

মদপান করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার ঢাবি ছাত্রলীগ নেতা


মদপান করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী ও তার অনুসারীরা। গত বুধবার গভীর রাতে রাজধানীর শাহবাগে পিকক বারের কর্মচারীদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১২টা থেকে শুরু হয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলি চলে রাত ৩টা পর্যন্ত। এতে প্রায় ২০ জনের মতো আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগে পিকক বারে মদপান করতে যায় এসএম হলের ছাত্রলীগ সভাপতি মেহেদী। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী রাত সাড়ে ১০টার দিকে বার বন্ধ হয়। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি বারের কর্মচারীদের দোকান খুলতে বলে। তারা দোকান খুলতে রাজি না হওয়ায় ছাত্রলীগ সভাপতি তাদের মারধর করে। পরে বারের কর্মচারীরা ছাত্রলীগ নেতাকে ধরে গণধোলাই দেয়।১

এরপর বিষয়টি হলের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক দিদার জানতে পেরে প্রায় দুইশ’ নেতাকর্মী নিয়ে শাহবাগে পিকক বারে আক্রমণ করে। এরপর শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলিও ফোটায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে উভয় গ্রুপের প্রায় ২০ জন আহত হয়। তাদের রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।

আহতরা হলেন এসএম হল সভাপতি মেহেদী, রবিউল ইসলাম (রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দ্বিতীয় বর্ষ), নাসির (ইসলামিক স্টাডিজ, দ্বিতীয় বর্ষ), শাহজাহান সুলতান (আরবি, দ্বিতীয় বর্ষ), তাহসান (সঙ্গীত, দ্বিতীয় বর্ষ), হাসিবুর রহমান সূর্যসহ আরও কয়েকজন। এ বিষয়ে এসএম হলের সভাপতি মেহেদীকে ফোন করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 
তবে সাধারণ সম্পাদক দিদার জানান, তারা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে জানিয়েছেন এবং পিকক বারের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মোল্লা বলেন, এগুলো খুবই খারাপ কাজ। এগুলো প্রশ্রয় দেয়া মন-মানসিকতা আমাদের নেই। সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এএম আমজাদ আলী বলেন, রাতে শাহবাগে ছাত্রলীগের সঙ্গে বার কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ২০ জনের মতো আহত হয়েছে। তারা এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। তদন্ত করে বিষয়টি যাচাই করা হবে বলেও তিনি জানান।



No comments:

Post a Comment