Wed, 12 February , 2014
Wed, 12 February , 2014
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট: বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: ছাত্রলীগের প্রত্যয়নপত্র না থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হল থেকে ৯৭ জন শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। সোমবার রাত ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের বলা হয় হলে উঠতে হলে আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্থানীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে আসতে হবে। হল প্রভোস্ট বিষয়টি স্বীকার করেছেন। শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীরা ২০১৩-১৪ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএম হল বরাদ্দ দেয় হয়।১
এ সুবাদে তাদের বেশির ভাগ হল ছাত্রলীগের কয়েকজন বড় ভাইকে বলে হলে অবস্থান করতে থাকেন। ১০ই ফেব্রুয়ারি তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে হলে তোলার কথা ছিল। ওই দিন রাত ১০টার দিকে সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের হলের সামনের চত্বরে জড়ো হতে বলা হয়। এ সময় সেখানে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদার মো. নিজামুল ইসলামসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দিদার সবার কাছে জানতে চান আগে কেউ ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা। কয়েকজন শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে ছাত্রলীগ করতেন বলে জানান। বাকিরা নীরব থাকায় তারা ছাত্রদল-শিবির করেছে কিনা বলে মন্তব্য করেন দিদার। এ সময় দিদার সবাইকে স্থানীয় ছাত্রলীগের প্রত্যয়নপত্রের সঙ্গে স্বাক্ষরকারীর মোবাইল নম্বর আনতে শর্ত দেন। যাতে হলের পক্ষ থেকে পরে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা যায়। ‘নীলক্ষেত থেকে প্রত্যয়নপত্র বানিয়ে আনলে পিঠের চামড়া থাকবে না’ বলে তিনি শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ার করে দেন। এরপর ১৫ মিনিটের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।
এভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ হলের প্রশাসক হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হলে তোলা এবং বের করে দেয়া- সবই তারা একক সিদ্ধান্তে করে থাকে। এসব নিয়ে হল প্রশাসন থাকে অন্ধকারে। পরে অবহিত করা হলেও ছাত্রলীগের পক্ষ নিয়ে তারা সাফাই গান। হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদার ছাত্রলীগের প্রত্যয়নপত্র আনার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সর্মথক কেউ থাকলে তাদের পরিচিতিপত্র আনতে বলেছি। হলে শিক্ষার্থী তোলা আমাদের কাজ নয়। আমরা শুনেছি হলে কিছু নতুন ছাত্র অবস্থান করছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য হল গেটের খোলা চত্বরে তাদের আসতে বলেছি। হল থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়ার বিষয়টিও দিদার অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, যারা হলে আগে থেকে অবস্থান করছে তারা হলেই আছে।
অন্যদিকে ছাত্রলীগের অপর একটি সূত্র জানায়, আগত শিক্ষার্থীরা এলাকায় শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বা ছাত্রলীগ করতো কিনা এ সম্পর্কিত একটি প্রত্যয়নপত্র স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতার কাছ থেকে আনতে বলা হয়। হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহাবুবুল আলম জোয়ার্দ্দার বলেন, রাতে বিষয়টি শুনে হলে গিয়েছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ বলেন, হলে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় নতুন শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানো হয়নি। হল থেকে কাউকে বের করে দেয়া এবং ছাত্রলীগের প্রত্যয়নপত্র আনার কথা শুনিনি। উল্লেখ্য, এর আগে শাহবাগে মদ খাওয়া নিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়েছিলেন দিদার। এজন্য তাকে সতর্কও করা হয়েছে। (মানবজমিন)
ঢাকা: ছাত্রলীগের প্রত্যয়নপত্র না থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হল থেকে ৯৭ জন শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। সোমবার রাত ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের বলা হয় হলে উঠতে হলে আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে স্থানীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়ে আসতে হবে। হল প্রভোস্ট বিষয়টি স্বীকার করেছেন। শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীরা ২০১৩-১৪ সেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএম হল বরাদ্দ দেয় হয়।১
এ সুবাদে তাদের বেশির ভাগ হল ছাত্রলীগের কয়েকজন বড় ভাইকে বলে হলে অবস্থান করতে থাকেন। ১০ই ফেব্রুয়ারি তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে হলে তোলার কথা ছিল। ওই দিন রাত ১০টার দিকে সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের হলের সামনের চত্বরে জড়ো হতে বলা হয়। এ সময় সেখানে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদার মো. নিজামুল ইসলামসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দিদার সবার কাছে জানতে চান আগে কেউ ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল কিনা। কয়েকজন শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে ছাত্রলীগ করতেন বলে জানান। বাকিরা নীরব থাকায় তারা ছাত্রদল-শিবির করেছে কিনা বলে মন্তব্য করেন দিদার। এ সময় দিদার সবাইকে স্থানীয় ছাত্রলীগের প্রত্যয়নপত্রের সঙ্গে স্বাক্ষরকারীর মোবাইল নম্বর আনতে শর্ত দেন। যাতে হলের পক্ষ থেকে পরে যোগাযোগ করে বিষয়টি যাচাই করা যায়। ‘নীলক্ষেত থেকে প্রত্যয়নপত্র বানিয়ে আনলে পিঠের চামড়া থাকবে না’ বলে তিনি শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ার করে দেন। এরপর ১৫ মিনিটের মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।
এভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ হলের প্রশাসক হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে। শিক্ষার্থীদের হলে তোলা এবং বের করে দেয়া- সবই তারা একক সিদ্ধান্তে করে থাকে। এসব নিয়ে হল প্রশাসন থাকে অন্ধকারে। পরে অবহিত করা হলেও ছাত্রলীগের পক্ষ নিয়ে তারা সাফাই গান। হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দিদার ছাত্রলীগের প্রত্যয়নপত্র আনার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির সর্মথক কেউ থাকলে তাদের পরিচিতিপত্র আনতে বলেছি। হলে শিক্ষার্থী তোলা আমাদের কাজ নয়। আমরা শুনেছি হলে কিছু নতুন ছাত্র অবস্থান করছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য হল গেটের খোলা চত্বরে তাদের আসতে বলেছি। হল থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়ার বিষয়টিও দিদার অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, যারা হলে আগে থেকে অবস্থান করছে তারা হলেই আছে।
অন্যদিকে ছাত্রলীগের অপর একটি সূত্র জানায়, আগত শিক্ষার্থীরা এলাকায় শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বা ছাত্রলীগ করতো কিনা এ সম্পর্কিত একটি প্রত্যয়নপত্র স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতার কাছ থেকে আনতে বলা হয়। হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহাবুবুল আলম জোয়ার্দ্দার বলেন, রাতে বিষয়টি শুনে হলে গিয়েছি এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ বলেন, হলে স্থান সঙ্কুলান না হওয়ায় নতুন শিক্ষার্থীদের হলে ওঠানো হয়নি। হল থেকে কাউকে বের করে দেয়া এবং ছাত্রলীগের প্রত্যয়নপত্র আনার কথা শুনিনি। উল্লেখ্য, এর আগে শাহবাগে মদ খাওয়া নিয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়েছিলেন দিদার। এজন্য তাকে সতর্কও করা হয়েছে। (মানবজমিন)
No comments:
Post a Comment