Thursday, February 27, 2014

Chhatra League once again

Until the major political parties stop using their student wings as musclemen, the violence will not stop

Violent images from Rajshahi University filled television screens and newspapers’ front pages on Sunday and Monday. Around 100 students of the university and eight journalists were wounded, as armed Bangladesh Chhatra League men backed by police attacked the students protesting fee hikes and evening shift master’s courses on the campus.
The BCL activists opened fire on the agitating students, while police discharged tear shells and rubber bullets. Conditions of some of the bullet-hit students are reportedly critical.
This is not the first time BCL has gone against a popular student movement. All the TV channels and newspapers aired and published the picture of the BCL goons brandishing firearms on the campus.
Questions come to mind: What’s going on? Where will all this lead to? And, what can be done about it?

Chhatra League’s Sexual Offences. A Widespread State of Denial


By Rahnuma Ahmed


While working on last week’s column, `The Nation, or Chhatra League…?’ (published on Monday, April 12, 2010), I had been in two minds.
Should I include sexual offences—aggressive behaviour, molestation, physical assault, violence, rape, asking a buddy to video the incident of rape for subsequent commercial release as pornography, gang-rape—allegedly committed by Bangladesh Chhatra League leaders and activists?
No, it deserves a separate column, I thought.
I was unaware of media reports on Eden college. For over two months, I’d been totally absorbed in researching and writing the Weather series (1 February – 29 March), and had been oblivious to much of what was happening around me. This included allegations against BCL’s women leaders and activists at Eden. But more on that later.
By all accounts, there seems to have been a sudden and horrific increase in nationwide violence, largely against girls and young women, over the last couple of months. Ten year old schoolgirl Shahnaz Begum of Digalbagh village in Mymensingh was raped by two brothers. Killed. October 2009. Eti Moni, a class ten student of Jaldhaka municipality in Nilphamari was raped. Strangled to death. October 2009. A schoolgirl of class three was raped at Ramanandapur village in Pabna sadar. October 2009. Nashfia Akand Pinky, a class IX student, committed suicide by hanging herself because she had been mercilessly teased and harassed, Pashchim Agargaon, Dhaka. January 2010. Nilufar Yasmin Eeti’s parents were shot dead by a young man after they turned down his proposal of marriage, Kalachandpur area in Gulshan, Dhaka. March 2010. Fourteen year old Umme Kulsum Elora, a student of class VII, committed suicide by taking pesticide because of continued harassment. April 2010. Mariam Akter Pinky, a student of class ten, died of burn injuries fuelled by kerosene in Konabhaban village in Kishoreganj; her mother says, she saw the young man who had harassed her for the last two years run out of the room. April 2010 …. there are many more. I stare uncomprehendingly at the horror of it all.
As I scan the newspapers, a recent headline catches my eye, Man stabs himself over refusal of marriage proposal. One lone man. He had preferred to kill himself. Not the woman.
And what about sexual offences which, according to media reports, have specifically been committed by BCL leaders and activists? Ahsan Kabir Mamun, also known as Mamun Howladar, information secretary of Pirojpur district committee of BCL, raped a class X student in Pirojpur, Barisal. September 2009. The incident was recorded on cellphone by his childhood friend `Ganja’ Monir, who happens to be a BNP activist. It was later available as a pornographic CD for sale in local video shops. Mamun insists it was recorded “secretly,” while Monir says he was carrying out Mamun’s instructions. Mamun did not deny having raped the girl, but added, the recording (not committing the crime itself, mind you) had been done to “tarnish” his political and business image. The two families, he said, were closely related. He was to be married to her soon. Her family responded by demanding that he should receive “exemplary punishment.”

Two Chhatra League leader injured in rival attack at Jahangirnagar University

25 Feb,2014 

JU CORRESPONDENT:


Two leaders of Bangladesh Chhatra League (BCL) of Jahangirnagar University (JU) unit were injured as rival attack took place here on campus over a trivial matter on Tuesday.

The injured were identified as Kaikobad and Asaduzzaman Sharif as Vice-President and Vice International Related Secretary of JU unit BCL.

Sharif was admitted at Savar Enam Medical Collage Hospital at instant in critical stage.

The attackers are resident of Mawlana Bhasani Hall while the victims are residential student of Banghabandhu Sheikh Mujibur Rahman Hall. A tense situation is prevailing among the leaders and activists of both two dormitories.

Proctor of the university Dr Mujibur Rahman said, due to internal feud, the incident took place and we are trying to avert further violence. He also wished to bring the incident under punishment after investigation.

Source: BDChronicle

ছাত্রলীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ, ভাংচুর, আহত ২

চট্টগ্রাম: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন আহত হয়েছে। এসময় নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় বেপরোয়াভাবে কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের কাচসহ দোকান পাট ও গাড়ি ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে আহতরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী এম এ হালিম মিঠু ও মো. ফরহাদ।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্র জানায়, দুপুর আড়াইটার দিকে নগর ছাত্রলীগের ওয়াসিম গ্রুপের এক কর্মীর উপর হামলায় চালায় আরশেদুল ইসলাম বাচ্চু সমর্থিত কর্মীরা। পরে নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ওয়াসিম গ্রুপের ছেলেরা জড়ো হয়ে বাচ্চু গ্রুপের এম এ হালিম মিঠু নামে এক কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এসময় ওয়াসিম গ্রুপের উত্তেজিত কর্মীরা জিইসি মোড় এলাকায় বেপরোয়াভাবে ব্যাংক, দোকানপাট ও গাড়ি ভাংচুর করে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার(পাঁচলাইশ জোন) দীপক জ্যোতি খীসা বাংলানিউজকে বলেন,‘জিইসি মোড় এলাকায় ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আবুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন,‘দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে ২৮ নং ওয়ার্ডে অন্যজনকে ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০১৪


Wednesday, February 26, 2014

RU violence: Attackers Police & BCL; case against Shibir (!) Over 350 sued in 6 cases

 
 








 

























সন্ত্রাসনির্ভর ছাত্ররাজনীতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশের মিছিল

সেদিন ফেসবুকে দেখলাম একজন লিখেছেন "ছাত্রলীগ লিখে গুগলে সার্চ দেন, তারপরে দেখেন"! কৌতূহলী হয়ে দিলাম সার্চ, যা ভাবছিলাম ঠিক তাই, অর্থাৎ ছাত্রলীগের নানান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের খবর। আসলেই এখন ব্যাপারটা অনেকটা তেমনই দাঁড়িয়েছে। ছাত্রলীগ এবং সন্ত্রাস-খুন-টেন্ডার বাজি সমার্থক শব্দ হয়ে গেছে প্রায়, যেমন হয়েছিল চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ছাত্রদল। প্রায় প্রতিটা দিন পত্রিকার পাতায় ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ড নিয়ে নিউজ থাকেই। সাধারণ পাবলিকের একটা বিতৃষ্ণা এসে গেছে ছাত্র রাজনীতির উপরে। অথচ আমাদের প্রায় সব গৌরবজনক অর্জনের সাথে ছাত্র সমাজ বা ছাত্র রাজনীতির ভূমিকা স্বর্ণালী অক্ষরে লেখা রয়েছে। কিছুদিন আগে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে বিশ্বজিতকে যা মিডিয়ার কল্যাণে আমরা টিভিতে দেখেছি, দেশে বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এই ঘটনার পরে। এখন ছাত্রলীগ প্রসঙ্গে কিছু বলতে গেলেই প্রথমে চলে আসে বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ডের কথা। কিন্তু আমি মনে করি সেদিনের ঐ হত্যাকাণ্ডের ভিডিও চিত্র ধারণ করা সম্ভব না হলে ঐ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কারও কোন মাথা ব্যথা থাকতো না। দেশে আনাচে কানাচে এমন অনেক বিশ্বজিতদের প্রাণ দিতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কই সেসব নিয়ে তো তেমন কোন কথা হয় না।
যাই হোক, আমার লেখার উদ্দেশ্য ছাত্রলীগ বা বিশ্বজিত হত্যাকাণ্ড নয়, বর্তমানে ছাত্র রাজনীতির নেতিবাচক প্রচারণা প্রসঙ্গে। কখনও ছাত্রলীগ কখনও বা ছাত্রদলের কারণে সাধারণ পাবলিক যখন অতিষ্ঠ ছাত্র রাজনীতি প্রসঙ্গে, তখন ছাত্র রাজনীতির একজন প্রাক্তন কর্মী হিসেবে বর্তমান হাল হকিকত পর্যবেক্ষণ করে আমার কাছে মনে হয়, বর্তমানে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিগত তিনটি দশকের তুলনায় অনেক অনেক ভালো পরিবেশ রয়েছে। আগেই বলে রাখি এটা একান্তই আমার নিজের চিন্তা ভাবনা। তবে এই কথা বলার জন্য আমাকে পাগল ভাবলে সম্ভবত ভুল হবে। এই প্রসঙ্গে আশির দশকের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল "চাইম" এর একটা গানের কথা মনে পড়লো, যেই গানে সেই সময়ের ছাত্র রাজনীতির একটা চিত্র ফুটে ওঠে। ঐ গানের কয়েকটা লাইন ছিল -
অনার্স কোর্স তিন বছর
লাগে মাত্র ছয় বছর
বাবার পকেটে লালবাতি জ্বলে
হায় মধুর পরিবেশ
হলের ডালে জীবন শেষ
পাস কোর্সে এ্যাটেন্ড করা ভালো
এ কেমন অভিশাপ বলো।
হ্যাঁ, এখনও সেশন জট রয়েছে, কিন্তু নির্দ্বিধায় বলা যায় আশি এবং নব্বইয়ের দশকের তুলনায় তা অনেকটা কম। অনির্ধারিত ছুটি এখনও দেয়া হয় তবে সেটাও ২০ বছর আগের মতো মহামারির আঁকার ধারণ করেনা। মনে করতে পারছি ১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে ঐ বছর জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের শতাধিক শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ছাত্র সংঘর্ষের জের ধরে। সেই সময়ের সংঘর্ষগুলো হতো বর্তমানের চাইতে অনেক অনেক বেশী ভয়াবহ। দেশের প্রধান দুই বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক দিনেই যথাক্রমে ৪০০ এবং ১০০০ রাউন্ড গুলি বর্ষণের মতো ঘটনাও অতীতে ঘটেছে। এখন মিডিয়ার কল্যাণে অনেক স্থিরচিত্র বা ভিডিও আমরা দেখছি এবং শিউরে উঠছি। কোন ঘটনায় ছোড়া হাতে থাকা কোন যুবকের ছবি বৃত্ত এঁকে মার্ক করে দেয়া হচ্ছে পত্রিকার পাতায়। পাইপ গান বা পিস্তল বিভলবার হলে তো কথাই নেই। কিন্তু আজ থেকে ২৫ বছর আগে মিডিয়ার এতো সুযোগ সুবিধা থাকলে ছোড়া-রিভলবার-নাইন এমএম এর বদলে কাঁটা রাইফেল, কাঁটা বন্দুক, এলএমজি, শটগান, চাইনিজ রাইফেল বা জি থ্রি রাইফেলধারীদের ছবি হর হামেশাই দেখা যেতো। সেই সময়টা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে হাত বাড়ালেই পাইপ গান, সিঙ্গেল শুটার, শাটার গান, এলজি'র দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া যেতো। অনেক কথা বলে ফেললাম। লেখার পরিধি বড় হয়ে গেলো। মূল প্রসঙ্গে যাই।
দেশের শুধুমাত্র একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশী শক্তি নির্ভর ছাত্র রাজনীতির দিকে দৃষ্টি দিলেই বুঝা যাবে আমি কেন বলছি বর্তমান সময়ে শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ অতীতের যে কোন সময়ের থেকে অনেক ভালো। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাত, বাংলাদেশের সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ স্বাধীনতার পর থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের অন্তত ৬০ নেতাকর্মী খুন হয়েছেন। সরকার বিরোধী আন্দোলন, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার, অভ্যন্তরীণ কোন্দল, চাঁদাবাজির টাকা ভাগবাটোয়ারা করা নিয়ে মুখোমুখি বন্দুক যুদ্ধে এবং কিছু ক্ষেত্রে পরিকল্পিতভাবে এসব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। শুধু শিক্ষার্থীই নয় খুন হয়েছে একাধিক কর্মচারী ও বহিরাগতও।
সদ্য স্বাধীন দেশে অনেকের কাছেই আগ্নেয়াস্ত্র থাকা স্বত্বেও সত্তুরের দশকের এর ব্যবহার খুব একটা দেখা যায়নি ঢাবি ক্যাম্পাসে। তবে পচাত্তরের পট পরিবর্তন এবং সামরিক শাসক জেনারেল জিয়ার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বৃদ্ধি পেতে অস্ত্রের অব্যবহার। বিশেষ করে আশির দশকে ছাত্রদলের মাধ্যমে সম্পূর্ণ পেশী শক্তি নির্ভর ছাত্র রাজনীতির একটা ধারার সৃষ্টি হয়। দেশব্যাপী প্রতিটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তারে ব্যাপকহারে শুরু হয় অস্ত্রের ব্যবহার। শুধু প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধেই নয় নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বেও অস্ত্রের ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়।

সে সময় "সন্ত্রাস যদি শিল্প হয়, আমি সেই শিল্পের সার্থক শিল্পী" উক্তি করে সন্ত্রাস নির্ভর ছাত্র রাজনীতির মডেল বনে যাওয়া ঢাবির কুখ্যাত সন্ত্রাসী গোলাম ফারুক অভি, সানাউল হক নীরু ও নতুন বাংলা ছাত্র সমাজ থেকে ছাত্রদলে আসা ইলিয়াস আলীর নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভি-নীরু গ্রুপ এবং ইলিয়াস গ্রুপ নামে পরস্পর বিরোধী দুটি গ্রুপের উত্থান ঘটে।
উভয় গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংঘর্ষ ঘটেছে বহুবার। নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির জন্য রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সন্ত্রাসীদের এনে হলে তোলে উভয় গ্রুপই। এই সময়েই ক্যাম্পাসে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার শুরু হয়। ইলিয়াস গ্রুপ ও অভি-নীরু গ্রুপের বন্দুক যুদ্ধ, সংঘর্ষ, বোমাবাজি রীতিমতো নিয়মিত ব্যাপার হয়ে যায়। ঘটতে থাকে একের পর এক হত্যাকাণ্ড।

ক্যাম্পাসে মোট চারটি সংগঠনকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার জন্য অভিযুক্ত করা যায় নিঃসন্দেহে। ছাত্রদল, জাসদ ছাত্রলীগ, নতুন বাংলা ছাত্র সমাজ এবং আওয়ামী ছাত্রলীগ। অবশ্য আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে এরশাদ নতুন বাংলা ছাত্র সমাজকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে।
বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় এসময়। একেকটা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়িত্ব শেষ করেছে, আজ পর্যন্ত সেসব তদন্ত কমিটির কোন প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি। সেখানে বিচার হওয়া তো অনেক দূরের কথা। অবশ্য একটা হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছিল এবং ১৯৮৭ সালে এক ছাত্র সংঘর্ষের জের ধরে ঢাবি কর্তৃপক্ষ জাসদ ছাত্রলীগ এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ১২ জন নেতা কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছে।
১৯৭২ সালের ডাকসু নির্বাচন এবং ছাত্রলীগ বিভক্ত হওয়ার পূর্বে এবং পরে একাধিকবার ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ঢাবিতে প্রথম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ১৯৭৪ সালে। এবারে দেখা যাক ঢাবি ক্যাম্পাসে স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত ঘটা হত্যাকাণ্ডের কিছু বিবরণ -
সেভেন মার্ডার, ৪ এপ্রিল ১৯৭৪ : ১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল প্রথম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এদিন সংঘটিত হয় এক নির্মম হত্যাকাণ্ড। যা ঢাবির ইতিহাসে কুখ্যাত সেভেন মার্ডার নামে খ্যাত। সেদিন অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে মুজিববাদী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলমসহ প্রায় ১৫ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সূর্যসেন হলের ৬৪৫ ও ৬৪৮ নম্বর কক্ষ থেকে ৭ জন ছাত্রকে তুলে নিয়ে যায় মুহসীন হলে। পরে মুহসীন হলের টিভি রুমের সামনের করিডোরে দাঁড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করা হয় তাদের। সেদিন যারা নিহত হয়েছেন তারা হলেন -

Tuesday, February 25, 2014

চারঘাটে আ.লীগের কমিটি গঠন নিয়ে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ : পাথরঘাটায় বিএনপি নেতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা

ডেস্ক রিপোর্ট

চারঘাটে আহত ৫ : রাজশাহীর চারঘাটে আ.লীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৩ জনকে রামেক হাসপাতালে এবং অপর দু’জনকে পুঠিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 
মঙ্গলবার ডাকরা ডিগ্রি কলেজ চত্বরে চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওর্য়াড আ.লীগের কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে পুরাতন কমিটি বিলুপ্তি করে নতুন কমিটি আহ্বান করা হয়। নতুন কমিটিতে ডাকরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু ফয়সাল বিপুল ও সহকারী শিক্ষক মাহাবুর রহমান সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়। আগের কমিটির সভাপতি আবুল কাসেম ও সাহাজামান সাধারণ সম্পাদক সাহাজামানের লোকজন আগের কমিটি বহাল রাখার দাবি জানালে উভয় গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।

পাথরঘাটায় আহত ১ : বরগুনার পাথরঘাটায় সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও চরদুয়ানি ইউপি মেম্বার হারুন অর রশিদ। মঙ্গলবার পাথরঘাটা থানার ১শ’ গজের মধ্যে সদর ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের সামনের রাস্তায় সরকারদলীয় সমর্থক হিসেবে পরিচিত কতিপয় বখাটে উচ্ছৃংখল যুবক তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এ সময় স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করে জহুরা খাতুন মাতৃমঙ্গল ক্লিনিকে ভর্তি করান। এ হামলার নিন্দা এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এম মতিউর রহমান মোল্লা। তাকে উন্নত চিকিত্সার জন্য বরিশাল নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।

কমলনগরে আহত ২ : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে যুবদল-ছাত্রদলের দু’নেতাকর্মীকে বেদম মারপিট করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল উপজেলার হাজিরহাট বাজারে ইউনিয়ন যুবদল নেতা চর জাঙ্গালীয়া গ্রামের নুর নবীকে হাজিরহাট বাজার থেকে ও স্থানীয় উপকূল কলেজ ছাত্রদলের নেতা দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র অনিক মাহমুদকে কলেজ থেকে উঠিয়ে নিয়ে রক্তাক্ত জখম করে কমলনগর থানা পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। উপজেলা বিএনপি স্থানীয় হাজিরহাটে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে যুবলীগ-ছাত্রলীগ বাধা দিলে ব্যাপক সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন গ্তুতর আহত হয়েছে। সোমবারের সংঘর্ষে যুবলীগ-ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মী আহত হওয়ার জের ধরে উপজেলাব্যাপী উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তারই ধারাবাহিকতায় যুবদল-ছাত্রদলের এ দুই নেতাকে জখম করে পুলিশে সোপর্দ করে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
বগুড়ায় আহত ১ : বগুড়ায় আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে শহরের সাতমাথা ও আশপাশে টানানো বিএনপি নেতাদের মুক্তির দাবি সংবলিত অসংখ্য ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ভাংচুর করেছে। ভাংচুর করেছে ইসলামী ব্যাংক ও আল আরাফাহ ব্যাংক। শিবির ভেবে এক ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তাকে রাম দা দিয়ে কুপিয়েছে ছাত্রলীগ। জামায়াতে ইসলামীর শহর অফিসেও ভাংচুরের চেষ্টা করেছে তারা।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ বগুড়া জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল শহরে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। এ লক্ষ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীদের শহরে জড়ো করা হয়। শহরের মাটিডালি থেকে একটি মিছিল দলীয় কার্যালয়ে আসার পথে আওয়ামী লীগের কর্মীরা দত্তবাড়ীতে ইসলামী ব্যাংক বড়গোলা শাখায় হামলা করে। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যাংকের সামনের অংশে লাগানো গ্লাস ভেঙে ফেলে।


মাদরাসা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধঃ খুলনা আলিয়া মাদরাসায় ছাত্রলীগের হামলা ও ভাংচুর, ১৫ জন আহত

খুলনা অফিস : ছাত্রলীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা ছাত্রশিবির ও সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলায় ছাত্রশিবির কর্মীসহ ১৫ জন ছাত্র আহত হয়েছে। আহতদেরকে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার সময় মাদরাসার ছাত্রাবাসের ৪টি কক্ষের দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত খুলনার আলিয়া মাদাসায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর মাদরাসা পরিচালনা পরিষদ ও শিক্ষকরা সভা করে মাদরাসা ও হোস্টেল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। ঘটনাটি তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করে তিনদিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্ররা জানায়, গতকাল সোমবার সকাল ৮টার দিকে হোস্টেলে একটি খাসী জবেহ করার জন্য শিক্ষক মাওলানা ইদ্রিস আলী মাদরাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী ফাহাদুজ্জামানকে কামিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র বদরুজ্জামানকে ডেকে আনতে বলেন। এ সময় সে বদরুজ্জামানকে ডাক দিয়ে বলে হুজুর ডাকছে। বদরুজ্জামান তখন বলে আমি যাচ্ছি। একটু দেরী হওয়ায় সে বলে বলছি না হুজুর ডাকছে। তখন বদরুজ্জামান বলে আমি যাচ্ছি বলেছি, তারপরও তুমি এভাবে বলছো কেনো? উত্তরে সে বলে কেনো বলছি একটু পরেই বুঝতে পারবি। এই বলে সে চলে যায়। দুপুর ১টার দিকে মহানগর ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও গোপালগঞ্জের একটি মাদরাসার ছাত্র নাঈম ও কর্মী ফাহাদুজ্জামান বহিরাগত ক্যাডার মানিক, ইব্রাহিম, তুহিন, রিয়াজসহ ৩০-৪০ জনকে নিয়ে মাদরাসায় প্রবেশ করে। এ সময় তাদের হাতে রাম দা, ছুরি, হকিস্টিক রড ছিলো। তারা মাদরাসা হোস্টেলের প্রতিটি রুমে তল্লাশি করে এবং হামলা চালায়। তাদের হামলায় ছাত্র এসএম বদরুজ্জামান (কামিল ২য় বর্ষ), রহমাতুল্লাহ (কামিল ২য় বর্ষ), সাবিবর হোসেন (৮ম শ্রেণী), মারুফবিল্লাহ (কামিল ২য় বর্ষ), মহিববুলাহ (কামিল ২য় বর্ষ), গোলাম রসুল (কামিল ২য় বর্ষ), মামুনুর রহমান (কামিল শেষ বর্ষ), এসএম মাহফুজুর রহমান (কামিল ২য় বর্ষ), মোমিনুর রহমান (কামিল ২য় বর্ষ), মাসুমবিল্লাহ (কামিল ২য় বর্ষ)সহ ১৫ জন আহত হয়। আহতদেরকে  স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

ইবিতে প্রক্টর অফিসে ছাত্রলীগের হামলা ও ভাংচুর

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে প্রক্টর অফিস ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগের চাকরি বঞ্চিত ক্যাডাররা। দলীয় বিবেচনায় ৫৪টি পদের বিপরীতে ১১২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়ার পরও সন্তুষ্ট নন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুজ্জামান তুহিনের ইন্ধনে চাকরি বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা এই ভাংচুর চালিয়েছে বলে জানা গেছে । ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে ভাংচুর হলেও পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। ভাংচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সংগঠন। এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বিশ্ববিদ্যাল অচল হয়ে পড়েছে। কোন বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি বলে জানা গেছে।
২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং দুই বিভাগের দুইজন শিক্ষকসহ আরো ৩ জন কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সিন্ডিকেটে অনুমোদনের জন্য ৫৪টি পদের মৌখিক পরীক্ষা গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। গত শুক্রবার  বিকাল ৩টায় পুলিশ প্রহরায় ভিসি বাংলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শুরু হয়। সভা শুরু হওয়ার আধঘণ্টা আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান তুহিন, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব হোসেন খোকন ভিসি অধ্যাপক ড. এম আলাউদ্দিনের সাথে দেখা করেন। এ সময় তারা ভিসিকে ২শ' জনের চাকরির জন্য সুপারিশ করে বলে ভিসি অফিস সূত্র জানায়। ছাত্রলীগের চাপের কারণে গত শুক্রবারে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই সিন্ডিকেটের বৈঠক স্থগিত করে প্রশাসন। পরের দিন শনিবার আবারো বৈঠক বসে।

ঢাবিতে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলা আহত ৫০ গ্রেফতার ৩

গতকাল সোমবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নবনির্বাচিত কমিটি ঢাবি ভিসি আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দীক
এর সাথে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার কথা থাকলেও ছাত্রলীগ ক্যাডারদের তান্ডবে তা পন্ড হয়ে যায়।
ছাত্রদল কর্মী কয়েকজন আগে-ভাগে ভিসি কার্যালয়ের সামনে হাজির হলে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তাদের
বেদম মারধর করে-সংগ্রাম

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয়াবাদী ছাত্রদলের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। তবে ছাত্রদলের দাবি ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ জন ছাত্রদল কর্মী আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার ক্যাম্পাসের মূল চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দুপুর ২টায় ছাত্রদলের নতুন কমিটির সাথে ভিসি অধ্যাপক ড. আআমস আরেফিন সিদ্দিকের সৌজন্য সাক্ষাৎ করার কথা ছিল। সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবে এজন্য সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে পাহারা বসায় ছাত্রলীগ। দুপুর ২টায় মূল চত্বরে ছাত্রদলের কর্মীদেরকে পেয়ে ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আহতরা হলেন, আববাস আলী, সোহাগ ও রাশেদ। আববাস ও সোহাগ স্যার সলিমুল্লাহ হল এবং রাশেদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ছাত্র। এছাড়া আহত অন্যান্যরা হলেন, রুহুল আমিন সোহেল, মাহমুদুল হক হিমেল, আবুবকর সিদ্দিক পাভেল, ছাত্রদল নেতা মুন্না, মাহফুজ, শ্রাবণ, মিরাজসহ আরও কয়েকজন। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এসময় দু'জনের মোটর সাইকেল ভাংচুর করে তারা। এছাড়া রেজিস্ট্রার ভবনে প্রায় ২০ কর্মীকে আটক করে রাখা হয়। আটককৃত ছাত্রদল নেতারা হলেন, শাখাওয়াত হোসেন, ওয়াহিদ, আশিক, রিপন, রাজু, পাবেল, হিমেল, মাহফুজ, পলাশ, সাগর, শ্রাবণ, নিরব, মুরাদ ও এফ রহমানের হল নেতা মুন্না। ছাত্রদলের দাবি ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. আমজাদ আলীর প্রত্যক্ষ মদদে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন কর্মীকে গুম করার জন্য রেজিস্ট্রার ভবনে আটক করে রাখা হয়েছে।

Sunday, February 23, 2014

ছাত্রলীগের রগকাটা কব্জিকাটার টুকরো ইতিহাস

  সিলেট পলিটেকনিকে রামদা হাতে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা- সংগ্রাম, ১৬ মে ২০১০

সিলেট পলিটেকনিকে রামদা হাতে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা- সংগ্রাম, ১৬ মে ২০১০


দার্শনিক গোয়েবলৎসের একটি সুত্র হচ্ছে কোন একটি মিথ্যাকে সত্য বলে প্রমানিত করার জন্য সেই মিথ্যাকে ১ শত বার বলাই যথেষ্ট। বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিতে সম্ভবত দার্শনিক গোয়েবলৎসের সেই সুত্রটিই টিকে গেছে। কারন যারা রগকাটার সাথে আদৌও সম্পর্কিত নয় তারা আজ রগকাটার দল আর যারা প্রকৃতপক্ষে প্রতিনিয়ত রগকাটে তাদের বেলায় এ কথাটি প্রযোজ্য হয়না। ১৯৭৭ সালে ছাত্রশিবির নামক একটি আদর্শিক ছাত্রসংগঠনের জন্ম হয় বাংলাদেশে। যারা এই আদর্শিক সংগঠনটিকে আদর্শ দিয়ে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয় তারা তাদের সর্বোচ্চ পেশীশক্তি এ সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে। কিন্তু পেশীশক্তি ব্যবহার করে এমনকি এই সংগঠনের শতশত নেতা কর্মীকে হত্যা করার পরও যখন সংগঠনটিকে দমাতে পারলোনা তখন কল্প কাহিনীর মত প্রচার করতে থাকল এই সংগঠনটি রগ কাটে। কিন্তু মিথ্যা এই অভিযোগটি ছাত্রশিবিরের ৩৫ বছরেও প্রমান করতে পারেনি কেউ। 
alt
এক সময় মিডিয়া সহ বিরোধী সবাই রগকাটা শব্দটিকে বেশী ব্যবহার করতো। মাঝে এটিকে আর তেমন ব্যবহার করতে দেখা যায়নি. কিন্তু ছাত্রশিবির যখন সরকারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে রাজপথে প্রতিবাদ মুখর হয়েছে. তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শিবিরকে দমন করার বার বার তেজোদ্বীপ্ত হুশিয়ারিতেও কোন কাজ হচ্ছে না দেখে এমন পরিস্থিতিতে দেশের তরুণ প্রজন্মের দৃষ্টিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য "রগকাটা" শব্দটিকে আবার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে. কিন্তু এদেশের তরুণরা আর ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যাচারকে প্রশ্রয় দেয়না এবং বিশ্বাসও করেনা। কারন একটি মিথ্যাকে ব্যাপক ভাবে প্রচার করা যায কিন্তু সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করা যায়না। প্রকৃতপক্ষে রগকাটার সাথে কারা যুক্ত? কারা প্রতিনিয়ত রগকাটে? কারা একে অপরকে কোপায়! সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার বিবরন সামনে তুলে ধরলেই সকলের নিকট দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হবে যে সত্যিকার অর্থে ছাত্রলীগই রগকাটায় ওস্তাদ বরং রগকাটায় তাদের সাধ মিটেনা বলেই কব্জিও কেটে নেয় তারা। ছাত্রলীগের রগকাটা কব্জিকাটার টুকরো কিছু তথ্য তুলে ধরলাম
ছাত্রশিবির চট্রগ্রাম মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি মু. জাহিদুল ইসলামের দু-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যডাররা_২৮ অক্টোবর ২০০৬
ছাত্রশিবির চট্রগ্রাম মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি মু. জাহিদুল ইসলামের দু-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যডাররা ২৮ অক্টোবর ২০০৬

Saturday, February 22, 2014

বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার নাজুক পরিস্থিতি – ছাত্রছাত্রীদের ভাবনা

students of bangladesh









ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের অব্যাহত সন্ত্রাসহল দখল,চাঁদাবাজিটেন্ডারবাজিভর্তি বাণিজ্যএকশ্রেণীর শিক্ষকের দলবাজিসহ নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা পরিস্থিতি নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের জীবনও এখন অসহায় এবং নাজুক। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেগুলো যতোটা না শিক্ষার তার চাইতেও বেশি বাণিজ্যের। শিক্ষাব্যবস্থা ক্রমে পিছিয়ে পড়ছে। বিশ্বের ১০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় এটি স্পষ্ট। সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে উন্নয়নে তেমন উদ্যোগও লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। শিক্ষা জীবন হচ্ছে ব্যহত।পাশাপাশি মান হচ্ছে নিু। এর প্রভাব গিয়ে পড়ছে দেশের অন্যান্য ক্ষেত্রে। বিষয়টি দুঃচিন্তার কারণ। দেশের শিক্ষাব্যবস্থামানসহ নানা বিষয়ে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায় ও বিভাগের শিক্ষার্থী তাদের মতামত ব্যক্ত করেছে আমাদের বুধবার-এর কাছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তামিম বলেনদেশের খ্যাতনামা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্থবিরতা আসলেই দুঃখজনক। মারামারি সহ বিভিন্ন কারনে কিছু দিন পর পর বন্ধ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। কিছু সংখ্যক ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীর জন্য অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ভোগান্তির শিকার। দেশের রাজনীতিবিদ যারা মূলত এসবের মদদদাতা তারা নিশ্চিন্তে শান্তি নিদ্রা গ্রহণ করছেন। এদের অধিকাংশের সন্তানেরা বিদেশে অথবা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। ফলে দেশের শিক্ষা উন্নত করার চিন্তা তাদের নেই। আমাদের এখানেই পড়তে ও চাকুরি করতে হবে। তাই সরকারের কাছ থেকে সবকিছু আদায় করে নিতে হবে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের বিগত প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের রাত থেকেই মূলত সারাদেশে শুরু হয় ছাত্রলীগের তাণ্ডব। সংগঠনটির লাগামহীন সন্ত্রাসচাঁদাবাজিটেন্ডারবাজি,লুটপাটআধিপত্য বিস্তারনিয়োগ ও ভর্তিবাণিজ্য এবং নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি আওয়ামীপন্থী শিক্ষক ও কর্তাব্যক্তিদের নগ্ন দলবাজির কারণে বর্তমানে দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বলতে কিছু নেই।

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-রাহাজানি

 নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষের সময়  কোদাল দিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ













॥ ফারুক আহমাদ ॥
মহাআতঙ্ক আর সন্ত্রাসের গডফাদারের নাম এখন ছাত্রলীগ। তাদের কীর্তিকলাপের কথা শুনলে ছাত্রছাত্রী আর দেশের সাধারণ মানুষের রাতের আরামের ঘুম হারাম হয়ে যায়। শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির স্লোগানধারী সংগঠনটির হাতে এখন সহপাঠী আর দেশের সাধারণ মানুষের রক্তের দাগ। আওয়ামী সরকারের গত চার বছরে এমন কোনো অন্যায়-অত্যাচার এবং হীন কোনো কাজ নেই যা তারা করেনি। এদের অসৎ কার্যক্রমকে বৈধতা দিতে আওয়ামী নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দলটির সাংগঠনিক দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আরো প্রবল শক্তির জায়গা করে দিয়েছেন। মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে ছাত্রলীগের জুলুম, নির্যাতন। ছাত্রলীগের সংঘর্ষের কারণে ৬৮ বার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। হল ছাড়া হয়েছে প্রায় ২০-২৫ হাজার শিক্ষার্থী।

চারবছরে ছাত্রলীগের নানা সংঘর্ষ
গত চার বছরে বিভিন্ন শিা প্রতিষ্ঠানে ১৮৭টি সংঘর্ষ করেছে ছাত্রলীগ। তার মধ্যে বিভিন্ন থানা ও জেলা শাখায় হয় ৪৮টি। এতে প্রতিপক্ষের ছাত্র আহত হয়েছেন ৩ হাজার ১৪৫ জন। পুলিশ, সাংবাদিক,  কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপ, ছাত্রীর অভিভাবক বাদী হয়ে ও নিজেদের এক গ্রুপ অপর গ্রুপের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে ৫৪২ জনের বিরুদ্ধে, যার মধ্যে ৪৯৫ জনকে বিভিন্ন অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া অন্য সংগঠনের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন এলাকাবাসীর ওপর হামলা করে ৫৬টি।

ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক

কিছুদিন আগের কথা। আমি আমার বাসায় বসে আছি, তখন হকার পত্রিকা দিয়ে গেল। পত্রিকায় দেখলাম এক ছাত্র রাইফেল নিয়ে দাড়িয়ে আছে। কাউকে মারার জন্য যে গুলি নিয়ে বের হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যা সন্দেহ করেছিলাম তাই, ছেলেটা আমাদের সোনার ছেলে, ছাত্রলীগ কর্মী।ছাত্রলীগ নাম আর কেন যে অব্যাহত রাখে হয়েছে তা আমার বোধগম্য না।সে যাই হোক গত কয়েক বচর ধরেই এই দৃশ্যটা মানুষকে অনেকটা অভ্যস্ত করে ফেলেছে। ১৯৭১ সালের পর থেকে আওয়ামিলীগ দেশের ছাত্রজনতাকে যেভাবে সন্ত্রাস বানিয়েছে তার জন্য তাদেরকে জাতি কোনদিন ক্ষমা করবে না। 
কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে, এই জীবনে আমি সবচেয়ে বিচিত্র, সবচেয়ে অবিশ্বাস্য বিষয় কী দেখেছি। আমি এতটুকু দ্বিধা না করে বলব, সেটি হচ্ছে ছাত্রলীগ। তার কারণ, যে বয়সটি হচ্ছে মাতৃভূমিকে ভালোবাসার বয়স, সেই বয়সে তারা ভালোবাসে চোর বাটপারদের, যারা এই মাতৃভূমির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। যে বয়সে একজন তরুণের মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বে অনুপ্রাণিত হওয়ার কথা, সেই বয়সে তারা অনুপ্রাণিত হয় চেতনাব্যবসায়িদের দিয়ে। যে বয়সে তাদের স্বপ্ন দেখার কথা দেশের বড় বড় লেখক, শিল্পী, ডাক্তার, বিজ্ঞানী, সাংবাদিককে নিয়ে, সেই বয়সে তারা আনুগত্য মেনে নিয়েছে সেই সব মানুষের, যারা বর্তমানে এই দেশের লেখক, শিল্পী, ডাক্তার, বিজ্ঞানী আর সাংবাদিকদের হত্যা করছে অথবা তাদের কন্ঠে তালা ঝুলাচ্ছে! যে বয়সে তাদের একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রভাতফেরি করার কথা, ষোলোই ডিসেম্বরে স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার কথা, পয়লা বৈশাখে রাজপথে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ার কথা, সেই বয়সে তারা ফেনিসিডিল আর গাজার আড্ডায় নিজেদেরকে ব্যাস্ত রাখছে, এমনকি শহীদ মিনারের সামনে নিজেদের মধ্যে শক্তির লড়াইয়ে অংশগ্রহন করছে। যে বয়সে তাদের মুক্তচিন্তা শেখার কথা, গান গাওয়ার কথা, নাটক করার কথা, আদর্শ নিয়ে ভাবালুতায় ডুবে যাওয়ার কথা, সেই সময় তারা ক্ষুদ্র গণ্ডির মধ্যে নিজেদের আটকে রাখতে শেখে, সন্ত্রাস হতে শিখে, মানুষ খুন করতে শেখে। যে বয়সে ছেলেদের মেয়েদেরকে সম্মান করার কথা,শ্রধ্যার অনুভুতি সব সময় বিরাজ করার কথা, সেই বয়সে তারা সেই অনুভূতিগুলোকে অশ্রদ্ধা করতে শেখে কখনও কখনও তারা রেপের সেন্ঞুরী পর্যন্ত করে— সেটা করে আবার উদযাপন করার মত বর্বরতা তারা করেছে বাংলার মাটিতে। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় : অস্থির ক্যাম্পাস

বেলাল হোসাইন রাহাত



»
























শিক্ষক রাজনীতি, ছাত্র হত্যা, নিয়মবহির্ভূত শিক্ষক নিয়োগ ও ছাত্রলীগের তাণ্ডবে গতবছর (২০১২) অধিকাংশ সময় উত্তাল ছিল দেশের একমাত্র আবাসিক ক্যাম্পাস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সাবেক ভিসি ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মনে নেয়নি সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বাধ্য হয়ে গতবছর মে মাসে বিদায় নিতে হয় তত্কালীন দুই শতাধিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া ভিসি অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরকে। তারপর ১৭ মে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনকে। বাইরে থেকে ভিসি নিয়োগের পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও উপাচার্য সুষ্ঠুভাবে ক্যাম্পাস কিছুদিন পরিচালনা করেন। কিছুদিন পর শিক্ষকরা সিনেট, সিন্ডিকেট ও ডিন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। কিন্তু উপাচার্য আনোয়ার হোসেন আন্দোলনকারীদের পাশকাটিয়ে ভিসি প্যানেল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। এতে আবারও উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। পুলিশ পাহারায় প্যানেল নির্বাচন সম্পন্ন করেন উপাচার্য। আন্দোলনরত শিক্ষকরা নির্বাচন বয়কট করে ওই দিনকে কালো দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বছর ২ আগস্ট ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের একনেতাকে কুপিয়ে আহত করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করলে শুরু হয় সংঘর্ষ। একপর্যায়ে পাঁচ শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হলে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ। গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা রামদা, রড ও লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ১৬ ঘণ্টা অবরোধ করে ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাংচুর করে। পরের দিন সিণ্ডিকেটের এক জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঈদের ছুটি ৯ আগস্ট থেকে এগিয়ে এনে ২ আগস্ট নির্ধারণ করে ক্যাম্পাস ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ ঘটনায় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. ফরহাদ হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। কিন্তু গত ছয় মাসেও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আলোর মুখ দেখেনি। পরে উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে শিবিরের ওপর দোষ চাপিয়ে ক্ষান্ত হন। 

সিলেটে ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

সিলেট নগরের লামাবাজারের মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ছাত্রলীগের বিধান গ্রুপের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুজনকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও একজনকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার এসআই জানান, সংঘর্ষের সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গেও ছাত্রলীগকর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। তখন ছাত্রলীগের অনেকের হাতে অস্ত্র ছিল। তবে, পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 

উল্লেখ্য,গত রবিবার রাতে ছাত্রলীগ এমসি কলেজের ছাত্রাবাস আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়ার পর টিলাগড়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এর একদিন পর গতকাল নিজেদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। জানা যায়, সকালে বহিরাগত কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী কলেজ ক্যাম্পাসে যায়। তারা কলেজের ছাত্রীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করলে সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

এর পর পরই সিনিয়ররা বিষয়টি সমাধানের জন্য বসলে বিধান গ্রুপের পিযুষ পক্ষের কয়েকজন সাগর পক্ষকে ধাওয়া করে। সঙ্গে সঙ্গে বিধান গ্রুপের সাগর পক্ষ পাল্টা ধাওয়া করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ১০ জন আহত হয়। এদিকে সংঘর্ষের পরপরই সাগর পক্ষ নগরের জল্লারপারের পিযুষের কথিত একটি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। পিযুষ কান্তি দে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ওই অফিসে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বসতেন। প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর অফিসটি ভাঙচুর করেছে। অন্যদিকে অরুণ দেবনাথ সাগর বলেন, 'সিলেটে ছাত্রলীগের কোনো অফিস নেই। পিযুষ গ্রুপের কর্মীরা কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করে। উত্তেজিত ছাত্ররা জল্লারপারে একটি অফিস ভাঙচুর করেছে বলে শুনেছি। এটি কোনো দলীয় অফিস নয়। এখানে বাজে ছেলেদের আড্ডা ছিল।'

ছাত্রলীগের ‘সন্ত্রাস: নগরকমিটির পদবঞ্চিতরা বেপরোয়া অর্ধশত গাড়িভাঙচুর, মামলা নেই

P-5

P-6
কেন্দ্র থেকে ছাত্রলীগের নগর কমিটি ঘোষণা করায় পর পদবঞ্চিতরা নগরের বিভিন্ন স্পটে গাড়ি ভাঙচুর করেছে। তারা বেপরোয়াভাবে প্রায় ৫০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তিনটি মোটরসাইকেল। এ সময় নগরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন সড়ক যানবাহনশূন্য হয়ে যায়। কোথাও কোথাও আবার যানজটের সৃষ্টি হয়।

দীর্ঘ ১০ বছর পর গতকাল নগর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয় কেন্দ্র থেকে। ঘোষিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজম রনিকে নিয়েই বিতর্ক চলছে বেশি। তিনি ওমর গণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের নেতা। বঞ্চিতদের অভিযোগ, রনির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।

নগর কমিটি ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়ে গতকাল বিকেলে। তখন থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগ নেতারা বিভিন্নভাবে ঘোষিত কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে থাকে। তবে সন্ধ্যায় তারা বিক্ষোভ প্রকাশ করে। এ সময় বঞ্চিতরা নগরের জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, বহদ্দারহাট, দুই নম্বর গেইট, প্রেসক্লাব, চেরাগী পাহাড় মোড়, মেয়র গলির মুখসহ বিভিন্ন স্পটে তারা যানবাহন ভাঙচুর করে। নগরের জিইসি মোড় থেকে মেয়র গলি পর্যন্ত গাড়ি ভাঙচুরে মেতে উঠে এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের ওয়াসিম গ্রুপের অনুসারীরা। এ সময় জিইসি মোড়ের আনন্দ ফার্নিচারের শোরুমের সামনে তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে তারা সেন্ট্রাল প্লাজার সামনে এসে জড়ো হয়। সেখানে সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পুলিশ এসে তাদেরকে সড়ক অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করে। এরপরও তারা সড়ক অবরোধ করে রাখার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের তাড়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন। সেখান থেকে বিতাড়িত হয়ে তারা অবস্থান নেয় গোলপাহাড় এলাকায়। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে তারা প্রবর্তক পর্যন্ত যায়। এ সময় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়।