কানাইঘাটে ছাত্রদলের
অভ্যন্তরীন কোন্দলের জের ধরে গত রবিবার ত্রিমুখী সংঘর্ষে
পাঁচ ছাত্রলীগ ও দ্ইু ছাত্রদল কর্মী আহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলা সদর ও কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায়
উত্তেজনা বিরাজ করছে।
Wednesday, March 5, 2014
সিলেটের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যস্ত শিষ্টের দমন ও দুষ্টের পালনেঃ (নেতামন্ত্রীদের প্রতিহিংসামূলক অপরিনামদর্শী ভূমিকা)
মার্চ. ১৮
শান্তির জনপদ হিসেবে শাহজালাল (রঃ) ও ৩৬০ আউলিয়ার পূণ্যভূমি সিলেটের সুনাম দীর্ঘকালের। এখানে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি ও রাজনৈতিক মূল্যবোধ বিশেষভাবে পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ঐতিহ্য বিদ্যমান। কিন্তু ইদানিং ক্ষমতাসীন ব্যক্তিবর্গ ও আওয়ামীলীগের কিছু নেতার অসহিষ্ণু প্রতিহিংসামূলক ও অদূরদর্শী আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এই স¤প্রীতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের মজবুত দেয়াল ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তাদের অপরিনামদর্শী নির্দেশনা ও তৎপরতার দরুণ শান্তির জনপদ সিলেটে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির আলামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। লক্ষণীয় যে, স¤প্রতি নগরীসহ সিলেটে বেশ কিছু খুন, গুম, হত্যাকান্ড অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংঘটিত হওয়া সত্বেও এসব জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িতরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। উদঘাটন করা হচ্ছে না এসব অপরাধের ঘটনা।
ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠন
ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠন
Tuesday, March 4, 2014
চবি মেডিকেল সেন্টারে ছাত্রলীগের হামলা ডাক্তারকে মারপিট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ২ দফা হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। গত রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোস্তফা কামাল হোসেন, এ্যাম্বুলেন্স চালক জগির আহমেদ ও পিয়ন তাজুল ইসলাম আহত হয়েছে। এ সময় ভয়ে চিকিৎসা কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়।
জানা যায়, ছাত্রলীগের এক অসুস্থ কর্মীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার জন্য মেডিকেল সেন্টারে এ্যাম্বুলেন্সের জন্য কয়েক দফা ফোন করা হয়। এ্যাম্বুলেন্স পাঠাতে দেরি হলে ক্ষিপ্ত হয়ে রাতে শাহজালাল হলের সামনে গাড়ি চালক জগির আহমেদকে মারধর করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়ে একদল ছাত্রলীগ কর্মী। অপর একদল কর্মী লাঠিসোটা নিয়ে সেন্টারে হামলা চালায়।
এ সময় তারা ডা. মোস্তফা কামাল হোসেনকে মারতে গেলে পিয়ন ও অন্যান্য কর্মচারীরা বাধা দেয়ায় ছাত্রলীগ কর্মীরা পিয়ন তাজুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করে। তারা চিকিৎসক মোস্তফা কামালকেও মারধর এবং চিকিৎসক কামরুন্নেছার কক্ষের দরজা ভাংচুর করে।
দোকান পোড়ালেন জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের বিপরীত দিকে সমবায় ব্যাংকের একটি জমির সীমানাপ্রাচীর ভেঙে সেখানে থাকা ফুটপাতের কয়েকটি বন্ধ দোকান পুড়িয়ে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এরপর তাঁরা সেই জমির প্রবেশ ফটকে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের ব্যানার লাগিয়ে দেন।
ক্যাম্পাস থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সদরঘাট শাখা স্থানান্তরের দাবিতে আজ মঙ্গলবার ব্যাংকটির প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। বেলা দুইটার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তাঁরা।
এ সময় ভিক্টোরিয়া পার্কসংলগ্ন এলাকায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য ক্যাম্পাসের দিকে আসতে চাইলে তাড়া দেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা ঢাকা দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়লে শিক্ষার্থীরা তাঁদের লক্ষ্য করে সেখানেই ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় হল উদ্ধার সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। পরে শিক্ষার্থীরা ফিরে এসে আবার ঢাকা ব্যাংকের শাখায় ইট ছোড়েন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ টায়ার জ্বেলে ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় জনসন রোড অবরোধ করে রেখেছেন। এতে সদরঘাট থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমবায় ব্যাংকের ওই জমিতে কয়েকটি চৌকির ওপর শীতের কাপড়রের ২০-২৫টি দোকান ছিল। তবে সেখানে কোনো দোকানি ছিলেন না। বেলা একটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সেই জমির সীমানাপ্রাচীর ভেঙে এসব কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এসে আগুন নেভায়।
বেলা ১১টার দিকে হল উদ্ধার সংগ্রাম পরিষদ ক্যাম্পাসে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের সদরঘাট শাখার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়। একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে শিক্ষক সমিতি। সেখান থেকে দুপুর ১২টার দিকে তারা মিছিল নিয়ে ব্যাংকের সামনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেয়। এ সময় ব্যাংকের ভেতরে অনেকেই আটকা পড়েন। এমনকি বাইরে থেকেও কেউ ব্যাংকে ঢুকতে পারছেন না। দুপুর ১২টার দিকে ব্যাংকের প্রধান ফটকে ‘বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবন’ ব্যানার লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
Sunday, March 2, 2014
সন্ত্রাস করলেও ব্যবস্থা নেয়া হয় না : তাই ছাত্রলীগ বেপরোয়া
সন্ত্রাসের সঙ্গে ছাত্রলীগের সম্পর্ক নতুন নয়। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের ইতিহাসও বেশ দীর্ঘ। স্বাধীনতার পরপরই ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন হিসেবে তারা যে ভূমিকা রেখেছিল তার ধারাবাহিকতা আজও অব্যাহত রয়েছে। ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনতাইসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা প্রবীণদের খুব ভালোভাবেই মনে থাকার কথা। তারপর যখনই দল ক্ষমতায় গেছে, ছাত্র সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেখা গেছে।
বিগত শেখ হাসিনা সরকারের শুরু থেকে শেষ সময় পর্যন- তারা শিক্ষাঙ্গনে-রাজপথে অস্ত্র হাতে কত রক্ত ঝরিয়েছে তার হিসাব করা কঠিন। সর্বশেষ গত রোববার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে পুলিশের সঙ্গে অস্ত্র উঁচিয়ে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলা, গোলাগুলির ঘটনা এখনও সারা দেশে আলোচনার প্রধান বিষয়। এ নিয়ে পুরোদমে চলছে অবিশ্বাস্য বাদানুবাদ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আইন রক্ষা বাহিনীর ভূমিকাও বিস্ময়কর না বলে পারা যায় না।
বাধ্য না হলে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীদের গায়ে কারও হাত পড়ে না, এটাই বাস-ব সত্য। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ছেলেরা কারও চেয়ে পিছিয়ে নেই। এক বিশ্বজিত্ হত্যা মামলায় জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাদ দেয়া হয়নি। তবে এ জন্য চেষ্টার কমতি ছিল না। কিন’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবারই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্য অস্ত্র হাতে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালিয়ে রক্ত ঝরাতে দেখা গেলেও কাউকে গ্রেফতার হতে দেখা যায়নি। বরং খুনের মামলার আসামি চিহ্নিত ছাত্রলীগ নেতাকে পুরস্কৃত হতে দেখা গেছে। গত রোববারও বর্ধিত ফি ও সান্ধ্য কোর্স বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হওয়ার সময় পুলিশের পাশাপাশি কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীকে সক্রিয় দেখা গেছে। পত্রিকা ও টিভির পর্দায় তাদের অ্যাকশনের ছবিও প্রকাশিত হয়েছে। অথচ আশ্চযের্র বিষয়, এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকেও থানায় মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পরিচয়ের প্রায় ৫০০ জনকে আসামি করায় এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এভাবে ছাত্রলীগ এক ঢিলে দুই পাখি মারার কৌশল নিতে আগে কমই দেখা গেছে। অন্যদিকে এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের করা চার মামলার কোনোটিতেই ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী কোনো নেতাকে আসামি করা হয়নি। বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে ছাত্রশিবিরের নেতাদেরও আসামি করা হয়েছে। বোঝা যাচ্ছে বেশ ভেবেচিনে- পরিকল্পনা মোতাবেকই পা ফেলা হচ্ছে।
তবে এর মধ্যেই গণমাধ্যমে সন্ত্রাসী ভূমিকার ছবি ছাপা হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় অস্ত্রধারী সবাই যে ছাত্রলীগের নয় সেটা স্পষ্ট করেই জানিয়েছেন। তবে যারা ছাত্রলীগের তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা তিনি বললেও বাস-বে সম্পূর্ণ উল্টো ঘটনা দেখা যাচ্ছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশ কমিশনার বেশ কায়দা করে বলেছেন, তারা ভিডিও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। ফলে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে মামলা হলেও এখন পর্যন- ছাত্রলীগের কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। সম্ভবত তাদের কাউকেই তারা চিনে উঠতে পারেননি! দলবাজ না হলে কোনো দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকা এমন হতে পারে না। তিনি অস্ত্রধারী হামলাকারীদের আশপাশে পুলিশের থাকার কথাও অস্বীকার করেছেন। তাহলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিগুলো কি সবই মিথ্যা?
দল ও সরকারের এমন ভূমিকার কারণেই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠার দুঃসাহস পেয়েছে। তারা ক্যাম্পাসে শুধু প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপরই চড়াও হয় না, সাধারণ ছাত্র এমনকি শিক্ষকদেরও রেহাই দেয় না। নিজেদের খুঁটির জোর জানে বলেই তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করতে দ্বিধা করে না।
বাণিজ্য মেলায় ছাত্রলীগের লুটতরাজ ও সন্ত্রাস : বদরুদ্দীন উমর
সন্ত্রাসী উচ্চারণ যাদের জিহ্বার নিত্যকর্ম তারা সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল করার জন্য যতই পবিত্র বাক্য বিস্তার করুক, তার দ্বারা যে কিছুই হওয়া সম্ভব নয়, এটা বাংলাদেশের এক বাস্তবতা। গত এক বছরে আওয়ামী লীগের শাসন আমলে সন্ত্রাস যেভাবে প্রায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিস্তার লাভ করছে তার দিকে তাকিয়ে এর সত্যতার প্রমাণ নতুন করে পাওয়া যায়।
ডিসেম্বর ২০০৮-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়লাভের সঙ্গে সঙ্গে, মুহূর্ত মাত্র দেরি না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সন্ত্রাস পুরোদমে শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ছাত্র সন্ত্রাস এমন পর্যায়ে দাঁড়ায় যাতে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হয়। তার এভাবে সম্পর্ক ছিন্ন করার আগে পর্যন্ত অবশ্য আমাদের জানা ছিল না, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে তিনি ছাত্রলীগেরও সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে রাখার জন্য তাদের ছাত্র সংগঠনটির গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছিলেন। কোন রাজনৈতিক দলের সভাপতি যে নিজেদের ছাত্র সংগঠনেরও সর্বোচ্চ নেতার পদ অধিকার করে থাকতে পারেন সেটা এর আগে কোথাও দেখা যায়নি। এ ধরনের কর্ম বা অপকর্মের পরিণতি কি হয় সেটা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী কর্তৃক ছাত্রলীগের উচ্চতম নেতৃত্বের পদ দখল করে রাখা থেকেই দেখা গেল।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যত্র ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও তার প্রয়োজনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করলেও এটা এক মহাসত্য যে, আওয়ামী লীগের গুণাবলী ছাত্রলীগের মধ্যে সংক্রামিত হওয়ার কারণেই তাদের দ্বারা উপরোক্ত সবকিছু ২০০৮-এর ডিসেম্বর থেকেই শুরু হয়েছে এবং এর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের অনেক কথাবার্তা ও তথাকথিত পদক্ষেপ সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয়নি। নির্বাচনে বিজয় লাভের পর আওয়ামী লীগের চিহ্নিত ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা যেভাবে দেশে ফেরত এসে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের কাণ্ডারি হিসেবে আবার পূর্ব ভূমিকা পালনের জন্য তৈরি হচ্ছে ও তাদের তৈরি করা হচ্ছে তাতে ছাত্ররা যে তাদের বিরুদ্ধে মূল দলীয় নেতৃত্বের সমালোচনা ও হুমকিকে কোন গুরুত্ব দেবে না এবং তাকে এক ধরনের ভাঁওতাবাজি ও ভণ্ডামি মনে করেই চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, লুটতরাজ ও সন্ত্রাস চালিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।
‘যেখানেই জামায়াত শিবির সেখানেই প্রতিরোধ’ ঘোষণা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের
যেখানেই জামায়াত-শিবির সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। বৃহস্পতিবার পরিষদের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এ ঘোষণা দেন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিবিরের রাজনীতি আইন করে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেখানেই ছাত্র শিবির বা জঙ্গী মৌলবাদী সংগঠন পাওয়া যাবে সেখানেই তাদের প্রতিরোধ করা হবে। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে সারাদেশে জামায়াত-শিবির মৌলবাদবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখারও ঘোষণা দেন তাঁরা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে ছাত্র শিবির যে মধ্যযুগীয় বর্বরতায় অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে যে মৌলবাদী চক্র এদেশে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অপরাজনীতি করেছিল তাদের উত্তরসূরি খুনী শিবির চক্র সারাদেশের শিক্ষাঙ্গনে রগ কাটা ও মানুষ হত্যার অপরাজনীতি অব্যাহত রেখেছে। বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ শি¶ার্থীকে হত্যা ও অসংখ্য শি¶ক-ছাত্রকে আহত করা এরই প্রমাণ। শিবিরের এই অপরাজনীতি ছাত্র সমাজ কখনই মেনে নেবে না।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফসিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এইচ.এম. বদিউজ্জামান সোহাগ, বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি কনক বড়ুয়া, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুসমত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল হামিদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মেহেদি হাসান মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ।
শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস-রাহাজানিঃ ছাত্রলীগের হাতে ৬৫ ছাত্র খুন
৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচী পালনকালে রাজধানীর বাহাদুর শাহ পার্কের পাশে বিশ্বজিত নামের এক পথচারিকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগ
॥ ফারুক আহমাদ॥
ছাত্রলীগ ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ ছাত্রনেতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে ছাত্র হত্যার রাজনীতি শুরু করে। ১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল থেকে ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত গত ৩৪ বছরে ছাত্রলীগের হাতে খুন হয়েছে ৬৫ জন শিক্ষার্থী। দিন দিন এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে চক্রাহারে। বর্তমান সরকার আমলের ২০০৯-২০১২ এ চার বছরেই ২৫ জন ছাত্রকে হত্যা করেছে তারা। তাছাড়া গত চারটি বছর ছিল শিক্ষাঙ্গনে সরকার সমর্থক সংগঠনটির সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি, নৈরাজ্য-নৃশংসতা, দুর্নীতি-লুটপাট, হামলা-সংঘর্ষ ও অব্যবস্থাপনার সাম্রাজ্য। এমনকি তাদের অত্যাচার-লাঞ্চনা হতে শিক্ষক-সাংবাদিক কেউ রক্ষা পায়নি। শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির স্লোগানকে পায়ে ঠেলে সংগঠনটি জংলী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে চলেছে অন্যায় আর অসৎ কার্যক্রমে। শুধু ২০১২ সালেই দেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা আর ১ হাজার ৭৮ জন শিক্ষার্থীকে আহত করে তারা।
ছাত্রলীগের হাতে ৬৫ খুন: ১৯৭৪ সালের ৪ এপ্রিল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ছাত্রলীগের খুনের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশে আ’লীগের তৃতীয় ও শেখ হাসিনার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগ তুমুলভাবে হত্যা-সন্ত্রাসের কার্যক্রম আরম্ভ করে। এ পর্যন্ত ছাত্রলীগ ৬৫ জন মেধাবী ছাত্রকে খুন করেছে। গত ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান নোমানীকে হত্যার মধ্যে দিয়ে ছাত্রলীগ খুনের কার্যক্রম শুরু করে এবং বিশ্বজিৎ নামের এক হিন্দু পথচারীকে হত্যার মধ্য দিয়ে ২০১২ সাল শেষ করে। তাদের হত্যার ধারাবাহিকতা এতটাই লম্বা হয়েছে যে, তারা গত চার বছরে ২৩ জন ছাত্র এবং কয়েকজন সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। বর্তমান সরকারের ৪ বছরে দেশের বিভিন্ন শিাপ্রতিষ্ঠানের ২৩ জন মেধাবী ছাত্রকে খুন করেছে ছাত্রলীগ, এর মধ্যে ৯ জনই ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মী। ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক শরিফুজ্জামান নোমানীকে হত্যার মধ্যে দিয়ে ছাত্রলীগ খুনের যাত্রা শুরু করে, ৮ ফেব্র“য়ারি চবিতে দুই শিবিরকর্মী মুজাহিদ ও মাসুদকে, ৩১ মার্চ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ ওরফে রাজীবকে খুন করে ছাত্রলীগ। এছাড়া ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রমৈত্রীর সহ-সভাপতি রেজানুল ইসলাম চৌধুরী, ৮ জানুয়ারি জাবির ছাত্রলীগ কর্মী জুবায়ের আহমেদকে, ২১ জানুয়ারি পাবনা টেক্সটাইল কলেজের ছাত্রলীগ কর্মী মোস্তফা কামাল শান্ত, ৮ ফেব্র“য়ারি (ছাত্রলীগের দাবি) ফারুক হোসেন, ১১ ফেব্র“য়ারি রাবির মহিউদ্দিন, ২৮ মার্চ হারুন অর রশিদ কায়সার, ১৫ এপ্রিল আসাদুজ্জামান, ১৫ আগস্ট নাসিম এবং ১৬ জুলাই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হন ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ ফেব্র“য়ারি ছাত্রলীগ-পুলিশের সংঘর্ষে নির্মমভাবে খুন হন নিরীহ ও মেধাবী ছাত্র আবু বকর। ১২ জুলাই সিলেট এমসি কলেজে ছাত্রলীগ কর্মী পলাশকে খুন করে।
ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে আহত মেধাবী ছাত্র আবুবকর সিদ্দিকের মৃত্যু
এফ রহমান হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ছাত্র আবু বকর মারা যাওয়ার ঘটনায় গতকাল বুধবার ঢাবি ক্যাম্পাসে বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে -সংগ্রাম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপে সংঘর্ষে আহত ২৫ জনের মধ্যে গুরুতর আহত আবুবকর গতকাল বুধবার মারা গেছে। সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেলে কর্তব্যরত ডাক্তার শফিকুল হক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে মেডিকেলের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, আবুবকর মঙ্গলবার রাতেই মারা গেয়েছিল। এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ভাংচুর করে। এ সময় পুলিশের সাথেও কিছু সময় সংঘর্ষ হয়। পরে প্রক্টর অফিস ভাংচুর করে ছাত্ররা। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা অভিযোগ করেন, আবুবকরের মৃত্যুর জন্য প্রক্টরই দায়ী। তার নির্দেশেই ছাত্রলীগের সংঘর্ষের সময় আমাদের রুমে পুলিশকে টিয়ারসেল ছুঁড়ে মেরেছে। এদিকে সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনকে দমানোর জন্য ক্যাম্পাসে ১০টি পয়েন্টে পাহারা বসিয়েছে ছাত্রলীগ। আবুবকরের লাশ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুরে পাঠানো হয়েছে। তার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক।
তথ্যসন্ত্রাসঃ ছাত্রলীগের ‘আত্মরক্ষা’ ও নিষ্ক্রিয় আইন
মশিউল আলম | ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৪ |
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ‘যতজনের হাতে অস্ত্র দেখা গেছে, তারা সবাই ছাত্রলীগের নয়’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে এই কথা বলেছেন। এর মানে দৃশ্যমান অস্ত্রধারীদের কয়েকজন ছাত্রলীগের। তাহলে ছাত্রলীগের এই অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে কী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ছাত্রলীগের যারা, আমরা তাদের বহিষ্কার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ বহিষ্কার মানে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার। এটা রাষ্ট্রের কোনো আইনি পদক্ষেপ নয়, সাংগঠনিক ব্যবস্থামাত্র। তাঁরা যে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন, সে বিবেচনায় এটি নিতান্তই এক লঘু পদক্ষেপ, যা লোক দেখানো বলে কেউ ধরে নিলে তাকে দোষ দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া আমরা জেনেছি, বহিষ্কৃত হয়েছেন সেদিনের অস্ত্রধারীদের মধ্য থেকে মাত্র দুজন। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে অন্তত ছয়জন অস্ত্রধারীর ছবি ছাপা হয়েছে, যাঁরা ছাত্রলীগের নেতা। বাকি চারজনকে কেন বহিষ্কার করা হয়নি? তাঁদের বিরুদ্ধে আদৌ কোনো পদক্ষেপ কি নেওয়া হয়েছে?
ছাত্রলীগের অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ‘আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে’—প্রধানমন্ত্রীর এই উক্তি তথ্য না আশ্বাস, তা আমরা জানি না। কিন্তু কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার খবর এখনো পাওয়া যায়নি। বরং যাঁদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাঁরা কেউই ছাত্রলীগের নন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিতেই ছাত্রলীগের অস্ত্রধারী কোনো নেতাকে আসামি করা হয়নি। আসামি করা হয়েছে ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন প্রভৃতি ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের, যাঁরা প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ব্যানারে বর্ধিত ফি ও সন্ধ্যাকালীন মাস্টার্স কোর্স বন্ধ করার দাবিতে আন্দোলন করছেন।
ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্র ইউনিয়ন নেতা আহত
এম.সি কলেজে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সভাপতি মতিউর রহমান ও এম.সি কলেজ সভাপতি বিশ্বপা ভট্টাচার্য মৌ আহত হওয়ার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার বিকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, সিলেটের উদ্যোগে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ সিলেটের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার মো. আরশ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন চলাকালীন অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ।
বক্তারা বলেন, গত ২৪ নভেম্বর বেলা ২টায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা সভাপতি মতিউর রহমান ও এম.সি কলেজ শাখার সভাপতি বিশ্বপা ভট্টাচার্য মৌ কলেজের সাংগঠনিক কার্যক্রম শেষে ফেরার পথে কলেজ গেটের সামনে ছাত্রলীগ জেলা শাখার বাতিল ঘোষিত কমিটির সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুর অনুসারী জাকারিয়াসহ ২০-২৫ সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অতর্কিত আক্রমণ করে মতিউর ও বিশ্বপাকে গুরুতর আহত করে।
তারা বর্তমানে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আছেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর সিলেট কোর্ট পয়েন্টে সিপিবি বাসদের বিভাগীয় সমাবেশে হিরণ মাহমুদ নিপুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আক্রমণ করে সিপিবি কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ ২০-২৫ জন নেতাকর্মীকে আহত করে। এই ঘটনার পর সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় এজাহার দায়ের করেন। এরপর থেকেই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য ছাত্র নেতাদের ওপর নানা রকম চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশের আম-জনতার দুর্ভাগ্য যে, আওয়ামী লীগ-বিএনপি যে দলই ক্ষমতায় থাক না কেন, ছাত্রদের নিয়ে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের ছত্রছায়ায় ছাত্র নামধারী দুর্বিনীত সন্ত্রাসীরা দেশকে জিম্মি করে রাখে। এদের নষ্ট হবার হাতেখড়ি হয় কলেজ পর্যায়েই।
নেতা গোছের সন্ত্রাসী বড় ভাইদের কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র চালানো রপ্ত করার বিদ্যে, খিস্তি- খেউর, চাঁদাবাজি সব কিছুর কোর্স কলেজ পর্যায়ে শেষ করে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শুরু হয় সন্ত্রাসী অভিজ্ঞতার প্র্যাক্টিক্যাল সেশন। সমৃদ্ধ (!) হতে থাকে অপরাধের প্রোফাইল।
আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মন্ত্রিপরিষদ সন্ত্রাসের বিপক্ষে যতই তর্জন গর্জন করুন না কেন, বাস্তবে আমরা মোটেও তার প্রতিফলন দেখতে পাই না। তাদের ছাত্রলীগ যে এখন সন্ত্রাসের সমর্থক সে বিষয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ আছে কি?
Saturday, March 1, 2014
পুলিশের সামনে কোনও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ছিল না : ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার
পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে খুব কাছ থেকে রেঞ্চ দিয়ে ছাত্রদল সভাপতির মাথায় আঘাত করছে জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগ কর্মী সংগীত দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র বরকত
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার একেএম শহীদুল হক বলেন, “আমি ডিসি রমনাকে বলেছি যে সাংবাদিকরা বা অন্যরা দেখে পুলিশের সঙ্গে অস্ত্রধারীরা হাঁটছে কিন্তু সে বিষয়গুলো আপনাদের চোখ এড়িয়ে গেল কেন।” তিনি দাবি করেন পুলিশের সামনে কোনও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ছিল না।সংঘর্ষের ব্যাপারে তিনি বলেন, পত্রিকা ও বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে আসা অস্ত্রধারীদের ছবিগুলোর বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আটজনের নাম উল্লেখ করে যে মামলা হয়েছে সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালানো হয়েছে।
হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের ছাত্রলীগ ক্যাডার বাপ্পী (দর্শন, চতুর্থবর্ষ) ছাত্রদল সভাপতির মাথায় আঘাত করছে
চবিতে তিন ছাত্রদলকর্মীকে বেদম পিটিয়ে আহত করল ছাত্রলীগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন ছাত্রদলকর্মীকে বেদম পিটিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিত্সকরা জানিয়েছেন।
চবিতে ছাত্রলীগের হামলা, তিন ছাত্রদল কর্মী আহত : চবি প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় আবারো ছাত্রদলের তিন কর্মী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের চবি মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে চবি জিরো পয়েন্ট চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. জুনাইদ হোসেন, গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের বদরুজ্জামান সুমন এবং মাস্টার্স শেষবর্ষের শিক্ষার্থী আবু তাহের।
তথ্যসন্ত্রাসঃ রাবি’র ভাঙচুরে জড়িত ‘ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত রোববার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পর ক্যাম্পাসে ভাঙচুরের যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলকর্মীরা জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের ওপর অস্ত্রহাতে চড়াও হয়ে সমালোচনার মুখে থাকা ছাত্রলীগ তাদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে শিবির নেতাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলা করেছে। ছাত্রদলের এক নেতা ভাঙচুরের জন্য শিবিরকে দায়ী করেছেন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিবির নেতারা।
এদিকে গত রোববার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশ চড়াও হওয়ার পর ভাঙচুরে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সেদিন দুপুরে হামলার পর সহস্রাধিক আন্দোলনকারী কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর ভিতরে আটকা পড়েন, সেখানে আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র আয়তুল্লাহ খোমেনীও ছিলেন।
পরে আন্দোলনকারীদের মতো স্লোগান দিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে কয়েকটি আবাসিক হল থেকে মিছিল বের হয়। ওই মিছিল থেকে কয়েকটি ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর হয় শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা জুবেরী ভবনেও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দুপুর ১টার দিকে পুলিশ যখন শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেয়। তখন একটি দল জুবেরী ভবনে ভাঙচুর চালায়। “যারা ভাংচুর চালিয়েছে, আমি তাদেরকে কোনো দিন ক্যাম্পাসে দেখিনি। এরা কখনো ছাত্র হতে পারে না। তবে সেখানে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কয়েকজন নেতাকে দেখতে পেয়েছি।”
ছাত্রলীগঃ অপরাধের স্বর্গরাজ্য ঢাকা কলেজ
মতিউর তানিফ 

অপরাধ জগতের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজ। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, কলেজ নিয়ন্ত্রণ এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশসেরা এই কলেজটি। আধিপত্যের লড়াইয়ে টিকে থাকতে প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা। চলছে গুলিবিনিময়, ককটেল নিক্ষেপ আর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে ক্যাম্পাসের হলগুলো এখন অস্ত্রের কারখানায় পরিণত হয়েছে। পিস্তল, রাম দা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রডসহ এমন কোনো দেশি-বিদেশি অস্ত্র নেই- যার অস্তিত্ব এ কলেজে নেই। হলের 'পলিটিক্যাল রুম' খ্যাত কক্ষ ছাড়াও প্রায় প্রতিটি রুমেই অস্ত্রের বিস্তার ঘটেছে। সর্বশেষ এ অস্ত্রের ব্যবহারেই বলি হয়েছেন ফারুক নামে এক সাধারণ শিক্ষার্থী। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের গুলিবিনিময়কালে নিহত হন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ওই ছাত্র।
তবে কলেজ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরব ভূমিকার কারণেই ফারুক নিহত হয়েছেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। তাদের আশঙ্কা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধারাবাহিক এই অস্ত্রের প্রতিযোগিতা চলতে থাকলে অচিরেই কলেজ ক্যাম্পাসে বড় ধরনের সহিংসতা হতে পারে। অসুস্থ রাজনীতির বলি হতে পারেন কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
অপরাধ জগতের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজ। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, কলেজ নিয়ন্ত্রণ এবং ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশসেরা এই কলেজটি। আধিপত্যের লড়াইয়ে টিকে থাকতে প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা। চলছে গুলিবিনিময়, ককটেল নিক্ষেপ আর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে ক্যাম্পাসের হলগুলো এখন অস্ত্রের কারখানায় পরিণত হয়েছে। পিস্তল, রাম দা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রডসহ এমন কোনো দেশি-বিদেশি অস্ত্র নেই- যার অস্তিত্ব এ কলেজে নেই। হলের 'পলিটিক্যাল রুম' খ্যাত কক্ষ ছাড়াও প্রায় প্রতিটি রুমেই অস্ত্রের বিস্তার ঘটেছে। সর্বশেষ এ অস্ত্রের ব্যবহারেই বলি হয়েছেন ফারুক নামে এক সাধারণ শিক্ষার্থী। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের গুলিবিনিময়কালে নিহত হন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ওই ছাত্র।
তবে কলেজ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরব ভূমিকার কারণেই ফারুক নিহত হয়েছেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। তাদের আশঙ্কা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধারাবাহিক এই অস্ত্রের প্রতিযোগিতা চলতে থাকলে অচিরেই কলেজ ক্যাম্পাসে বড় ধরনের সহিংসতা হতে পারে। অসুস্থ রাজনীতির বলি হতে পারেন কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী।
২৫ দফা সংঘর্ষ করেছে ছাত্রলীগ, ক্যাম্পাসে চলেছে রাম রাজত্ব\ কমিটি হয়েছে বাতিল
রাজশাহী : দলীয় কোন্দলের জের ধরে রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে সশস্ত্র মহড়া- সংগ্রাম
মশিউর রহমান ও বোখারী আজাদ, রাজশাহী অফিস : প্রশাসনের আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং প্রতিপক্ষ কোন সংগঠন না থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। এক সময় প্রশাসনের যেই কর্তা ব্যক্তিরা গোপন পরামর্শ এবং শিবিরকে দুর্বল করে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের একক আধিপত্য স্থাপন করতে সর্বস্ব দিয়ে সহযোগিতা করেছিল তারাই এখন আর বেপরোয়া ছাত্রলীগকে সামাল দিতে পারছে না। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষের পর গত ছয় মাসে শুধুমাত্র ছাত্রলীগ নিজেদের মধ্যে কমপক্ষে ২৫ বার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। এতে শতাধিক আহত হওয়া ছাড়াও ছাত্রলীগের সেক্রেটারিসহ গ্রেফতার হয়েছে ডজন খানেক। পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়েছে একাধিকবার। ছাত্রলীগের মধ্যে দলীয় অন্তঃকোন্দল সামাল দিতে না পেরে অবশেষে রাবি ছাত্রলীগের কমিটিই বাতিল করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
ইবিতে পুলিশের শটগান ছিনিয়ে ছাত্রলীগের গুলি : ছাত্রদলের মিছিলে হামলায় আহত ৬০
শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত ছাত্রদলের মিছিলে গতকাল সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। নিজেদের মজুত অস্ত্র ব্যবহার ছাড়াও এ সময় ইবির ছাত্রলীগ সভাপতি এক পুলিশ সদস্যের শটগান কেড়ে নেয়। সেই অস্ত্র দিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়। এছাড়া আরও অন্তত ৮ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা হামলা চালালে ছাত্রদলও প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ অবস্থায় ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ঘণ্টাব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ইবি ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৬০ নেতাকর্মী আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত ইবি ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক সবুরে নিশান সৌরভকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যাম্বুলেন্স ও ১০টি গাড়িতে ভাংচুর চালানো হয়।
চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম : গৌরনদীতে ছাত্রলীগের হামলা আহত ৫
চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগের বিবদমান দু’গ্রুপের কোন্দলের জেরে শুক্রবার রাতে ও গতকাল বিকালে পাল্টাপাল্টি হামলায় দু’পক্ষের দু’নেতা রক্তাক্ত জখম হয়েছেন।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা গতকাল দুপুরে বরিশালের গৌরনদীতে হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেলের ৫ চালককে আহত করেছে। সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগের কোন্দলে ২ নেতাকে কুপিয়ে জখম : চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগের বিবদমান দু’গ্রুপের কোন্দলের জেরে শুক্রবার রাতে ও গতকাল বিকালে পাল্টাপাল্টি হামলায় দু’পক্ষের দু’নেতা রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। একই সঙ্গে শহরে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শনের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
Thursday, February 27, 2014
Chhatra League once again
Until the major political parties stop using their student wings as musclemen, the violence will not stop
Violent images from Rajshahi University filled television screens and newspapers’ front pages on Sunday and Monday. Around 100 students of the university and eight journalists were wounded, as armed Bangladesh Chhatra League men backed by police attacked the students protesting fee hikes and evening shift master’s courses on the campus.
The BCL activists opened fire on the agitating students, while police discharged tear shells and rubber bullets. Conditions of some of the bullet-hit students are reportedly critical.
This is not the first time BCL has gone against a popular student movement. All the TV channels and newspapers aired and published the picture of the BCL goons brandishing firearms on the campus.
Questions come to mind: What’s going on? Where will all this lead to? And, what can be done about it?
Chhatra League’s Sexual Offences. A Widespread State of Denial
By Rahnuma Ahmed
While working on last week’s column, `The Nation, or Chhatra League…?’ (published on Monday, April 12, 2010), I had been in two minds.
Should I include sexual offences—aggressive behaviour, molestation, physical assault, violence, rape, asking a buddy to video the incident of rape for subsequent commercial release as pornography, gang-rape—allegedly committed by Bangladesh Chhatra League leaders and activists?
No, it deserves a separate column, I thought.
I was unaware of media reports on Eden college. For over two months, I’d been totally absorbed in researching and writing the Weather series (1 February – 29 March), and had been oblivious to much of what was happening around me. This included allegations against BCL’s women leaders and activists at Eden. But more on that later.
By all accounts, there seems to have been a sudden and horrific increase in nationwide violence, largely against girls and young women, over the last couple of months. Ten year old schoolgirl Shahnaz Begum of Digalbagh village in Mymensingh was raped by two brothers. Killed. October 2009. Eti Moni, a class ten student of Jaldhaka municipality in Nilphamari was raped. Strangled to death. October 2009. A schoolgirl of class three was raped at Ramanandapur village in Pabna sadar. October 2009. Nashfia Akand Pinky, a class IX student, committed suicide by hanging herself because she had been mercilessly teased and harassed, Pashchim Agargaon, Dhaka. January 2010. Nilufar Yasmin Eeti’s parents were shot dead by a young man after they turned down his proposal of marriage, Kalachandpur area in Gulshan, Dhaka. March 2010. Fourteen year old Umme Kulsum Elora, a student of class VII, committed suicide by taking pesticide because of continued harassment. April 2010. Mariam Akter Pinky, a student of class ten, died of burn injuries fuelled by kerosene in Konabhaban village in Kishoreganj; her mother says, she saw the young man who had harassed her for the last two years run out of the room. April 2010 …. there are many more. I stare uncomprehendingly at the horror of it all.
As I scan the newspapers, a recent headline catches my eye, Man stabs himself over refusal of marriage proposal. One lone man. He had preferred to kill himself. Not the woman.
And what about sexual offences which, according to media reports, have specifically been committed by BCL leaders and activists? Ahsan Kabir Mamun, also known as Mamun Howladar, information secretary of Pirojpur district committee of BCL, raped a class X student in Pirojpur, Barisal. September 2009. The incident was recorded on cellphone by his childhood friend `Ganja’ Monir, who happens to be a BNP activist. It was later available as a pornographic CD for sale in local video shops. Mamun insists it was recorded “secretly,” while Monir says he was carrying out Mamun’s instructions. Mamun did not deny having raped the girl, but added, the recording (not committing the crime itself, mind you) had been done to “tarnish” his political and business image. The two families, he said, were closely related. He was to be married to her soon. Her family responded by demanding that he should receive “exemplary punishment.”
Two Chhatra League leader injured in rival attack at Jahangirnagar University
25 Feb,2014
JU CORRESPONDENT:
Two leaders of Bangladesh Chhatra League (BCL) of Jahangirnagar University (JU) unit were injured as rival attack took place here on campus over a trivial matter on Tuesday.
The injured were identified as Kaikobad and Asaduzzaman Sharif as Vice-President and Vice International Related Secretary of JU unit BCL.
Sharif was admitted at Savar Enam Medical Collage Hospital at instant in critical stage.
The attackers are resident of Mawlana Bhasani Hall while the victims are residential student of Banghabandhu Sheikh Mujibur Rahman Hall. A tense situation is prevailing among the leaders and activists of both two dormitories.
Proctor of the university Dr Mujibur Rahman said, due to internal feud, the incident took place and we are trying to avert further violence. He also wished to bring the incident under punishment after investigation.
Source: BDChronicle
ছাত্রলীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ, ভাংচুর, আহত ২
চট্টগ্রাম: আধিপত্য
বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে
সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’জন আহত হয়েছে।
এসময় নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় বেপরোয়াভাবে কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকের কাচসহ
দোকান পাট ও গাড়ি ভাংচুর করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে আহতরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী এম এ হালিম মিঠু ও মো. ফরহাদ।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার(পাঁচলাইশ জোন) দীপক জ্যোতি খীসা বাংলানিউজকে বলেন,‘জিইসি মোড় এলাকায় ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০১৪
বুধবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সংঘর্ষে আহতরা হলেন- ছাত্রলীগ কর্মী এম এ হালিম মিঠু ও মো. ফরহাদ।
প্রত্যক্ষদর্শী
সুত্র জানায়, দুপুর আড়াইটার দিকে নগর ছাত্রলীগের ওয়াসিম গ্রুপের এক
কর্মীর উপর হামলায় চালায় আরশেদুল ইসলাম বাচ্চু সমর্থিত কর্মীরা। পরে নগরীর জিইসি
মোড় এলাকায় ওয়াসিম গ্রুপের ছেলেরা জড়ো হয়ে বাচ্চু গ্রুপের এম এ হালিম মিঠু
নামে এক কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। এসময় ওয়াসিম গ্রুপের
উত্তেজিত কর্মীরা জিইসি মোড় এলাকায় বেপরোয়াভাবে ব্যাংক, দোকানপাট ও গাড়ি
ভাংচুর করে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার(পাঁচলাইশ জোন) দীপক জ্যোতি খীসা বাংলানিউজকে বলেন,‘জিইসি মোড় এলাকায় ঝামেলা হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠানো হয়েছে।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল
কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আবুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন,‘দু’পক্ষের সংঘর্ষের
ঘটনায় আহত দু’জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা
হয়েছে। এদের মধ্যে একজনকে ২৮ নং ওয়ার্ডে অন্যজনকে ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে
চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০১৪
Subscribe to:
Posts (Atom)