মার্চ. ১৮
শান্তির জনপদ হিসেবে শাহজালাল (রঃ) ও ৩৬০ আউলিয়ার পূণ্যভূমি সিলেটের সুনাম দীর্ঘকালের। এখানে সা¤প্রদায়িক স¤প্রীতি ও রাজনৈতিক মূল্যবোধ বিশেষভাবে পরমতসহিষ্ণুতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ঐতিহ্য বিদ্যমান। কিন্তু ইদানিং ক্ষমতাসীন ব্যক্তিবর্গ ও আওয়ামীলীগের কিছু নেতার অসহিষ্ণু প্রতিহিংসামূলক ও অদূরদর্শী আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে এই স¤প্রীতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের মজবুত দেয়াল ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তাদের অপরিনামদর্শী নির্দেশনা ও তৎপরতার দরুণ শান্তির জনপদ সিলেটে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির আলামত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। লক্ষণীয় যে, স¤প্রতি নগরীসহ সিলেটে বেশ কিছু খুন, গুম, হত্যাকান্ড অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংঘটিত হওয়া সত্বেও এসব জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িতরা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। উদঘাটন করা হচ্ছে না এসব অপরাধের ঘটনা।
ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠন
ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ক্যাডাররা এমসি কলেজের ঐতিহ্যবাহী হোস্টেল পোড়ানো, সরকারী কলেজের ছাত্রী হোস্টেল দখল, জগতজ্যোতি হত্যাকান্ডসহ উপর্যুপরি খুন এবং নগরীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বার বার হামলা, লুট ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের জঘন্য ঘটনা সংঘটন করলেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ মহড়া দেয়া সত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন আঞ্চলিক পত্রপত্রিকা ও জাতীয় দৈনিক এবং টিভি চ্যানেলে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তাদের মিছিল, মহড়া ও সন্ত্রাসী তৎপরতার ছবি ছাপা ও প্রচারিত হওয়া সত্বেও রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং জনগণের দাবি দাওয়া ও চাপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে গেলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতামন্ত্রীদের এতে হস্তক্ষেপ করতে দেখা গেছে। তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গ্রেফতার ও শাস্তি এড়াতে সহায়তা করছেন এই সন্ত্রাসী অপরাধী চক্রকে। ফলে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কথায় কথায় তারা অস্ত্র নিয়ে নগরীর রাস্তাঘাট ও অলিগলিতে মহড়া দিতে দেখা যাচ্ছে।

অপরদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জামায়াত-শিবির ধরার নামে নিরিহ ও শান্তিপ্রিয় শিক্ষার্থীদের বাড়িঘর, হোস্টেল কিংবা মেসে থাকতে দিচ্ছে না। দিচ্ছে না পড়াশোনা করতে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে। ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররা খুনোখুনি করলে কিংবা অন্তর্কলহে খুন হলে এর দায় চাপানো হচ্ছে জামায়াত শিবির ইত্যাদি দলের উপর। এসব ঘটনা সংঘটনের পর ঐসব নেতা তাৎক্ষণিকভাবে কোন তদন্ত ছাড়াই কিংবা খবরাখবর না নিয়েই সরাসরি দায়ী করা হচ্ছে বিরোধী দলকে। বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ গুলি করে মানুষ হত্যার পর সেই অপরাধে মামলা করা হচ্ছে শত শত বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের। খুন, হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীরা নির্বিঘেœ ঘুরে বেড়ালেও গ্রেফতার করা হচ্ছে নিরপরাধ, গণতন্ত্রকামী ও শান্তিকামী বিরোধী দলীয় সর্বজনশ্রদ্ধেয় নেতাদের।
সাম্প্রতিককালে সিলেট নগরীতে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে উপর্যুপরি হামলা, লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। বার বার আবেদন, দাবি ও আলটিমেটাম সত্বেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেফতার করছে না। উপায়ান্তর না দেখে এখন এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা না হলে তারা সরকারকে ট্যাক্স দেয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এতো কিছু সত্বেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এদের গ্রেফতারের ব্যাপারে নির্বিকার। উপরের ইংগিত ও নির্দেশে এমনটি ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীসহ সিলেটের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক করেছেন। জানা গেছে, উক্ত বৈঠকে জনৈক স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা জামায়াত শিবিরের স্থানীয় উর্ধ্বতন নেতাদের গ্রেফতার না করায় পুলিশ কর্মকর্তাদের অশোভন ভাষায় গালমন্দ ও ধমক প্রদান করেন। তিনি শীঘ্রই তাদের গ্রেফতারে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন।
সচেতন মহলের মতে, এভাবে ক্ষমতাসীন নেতামন্ত্রী কর্তৃক সন্ত্রাসী অপরাধীদের ছত্রছায়া ও মদদ দানের ফলে শান্তির জনপদ সিলেট এখন অশান্ত হয়ে উঠেছে। পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড়, তল্লাসী ও সহিংস আচরণে সিলেটের জনগণ রীতিমতো আতংকিত। ফলে নগরীসহ সিলেট অঞ্চলে দিন দিন মারাত্মক অপরাধ বেড়েই চলেছে। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের কাছে বন্দী হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ নগরীর শান্তিপ্রিয় বাসিন্দারা।
সুত্রঃ দৈনিক জালালাবাদ
ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠন
ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ক্যাডাররা এমসি কলেজের ঐতিহ্যবাহী হোস্টেল পোড়ানো, সরকারী কলেজের ছাত্রী হোস্টেল দখল, জগতজ্যোতি হত্যাকান্ডসহ উপর্যুপরি খুন এবং নগরীর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বার বার হামলা, লুট ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের জঘন্য ঘটনা সংঘটন করলেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ মহড়া দেয়া সত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন আঞ্চলিক পত্রপত্রিকা ও জাতীয় দৈনিক এবং টিভি চ্যানেলে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তাদের মিছিল, মহড়া ও সন্ত্রাসী তৎপরতার ছবি ছাপা ও প্রচারিত হওয়া সত্বেও রহস্যজনক কারণে তাদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং জনগণের দাবি দাওয়া ও চাপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে গেলেও ক্ষমতাসীন দলের নেতামন্ত্রীদের এতে হস্তক্ষেপ করতে দেখা গেছে। তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গ্রেফতার ও শাস্তি এড়াতে সহায়তা করছেন এই সন্ত্রাসী অপরাধী চক্রকে। ফলে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কথায় কথায় তারা অস্ত্র নিয়ে নগরীর রাস্তাঘাট ও অলিগলিতে মহড়া দিতে দেখা যাচ্ছে।
অপরদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জামায়াত-শিবির ধরার নামে নিরিহ ও শান্তিপ্রিয় শিক্ষার্থীদের বাড়িঘর, হোস্টেল কিংবা মেসে থাকতে দিচ্ছে না। দিচ্ছে না পড়াশোনা করতে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে। ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী ও ক্যাডাররা খুনোখুনি করলে কিংবা অন্তর্কলহে খুন হলে এর দায় চাপানো হচ্ছে জামায়াত শিবির ইত্যাদি দলের উপর। এসব ঘটনা সংঘটনের পর ঐসব নেতা তাৎক্ষণিকভাবে কোন তদন্ত ছাড়াই কিংবা খবরাখবর না নিয়েই সরাসরি দায়ী করা হচ্ছে বিরোধী দলকে। বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ গুলি করে মানুষ হত্যার পর সেই অপরাধে মামলা করা হচ্ছে শত শত বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাদের। খুন, হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীরা নির্বিঘেœ ঘুরে বেড়ালেও গ্রেফতার করা হচ্ছে নিরপরাধ, গণতন্ত্রকামী ও শান্তিকামী বিরোধী দলীয় সর্বজনশ্রদ্ধেয় নেতাদের।
সাম্প্রতিককালে সিলেট নগরীতে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী কর্তৃক ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে উপর্যুপরি হামলা, লুটপাট, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। বার বার আবেদন, দাবি ও আলটিমেটাম সত্বেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেফতার করছে না। উপায়ান্তর না দেখে এখন এসব সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা না হলে তারা সরকারকে ট্যাক্স দেয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এতো কিছু সত্বেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এদের গ্রেফতারের ব্যাপারে নির্বিকার। উপরের ইংগিত ও নির্দেশে এমনটি ঘটছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীসহ সিলেটের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ আইনশৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক করেছেন। জানা গেছে, উক্ত বৈঠকে জনৈক স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা জামায়াত শিবিরের স্থানীয় উর্ধ্বতন নেতাদের গ্রেফতার না করায় পুলিশ কর্মকর্তাদের অশোভন ভাষায় গালমন্দ ও ধমক প্রদান করেন। তিনি শীঘ্রই তাদের গ্রেফতারে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করেন।
সচেতন মহলের মতে, এভাবে ক্ষমতাসীন নেতামন্ত্রী কর্তৃক সন্ত্রাসী অপরাধীদের ছত্রছায়া ও মদদ দানের ফলে শান্তির জনপদ সিলেট এখন অশান্ত হয়ে উঠেছে। পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড়, তল্লাসী ও সহিংস আচরণে সিলেটের জনগণ রীতিমতো আতংকিত। ফলে নগরীসহ সিলেট অঞ্চলে দিন দিন মারাত্মক অপরাধ বেড়েই চলেছে। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের কাছে বন্দী হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীসহ নগরীর শান্তিপ্রিয় বাসিন্দারা।
সুত্রঃ দৈনিক জালালাবাদ
No comments:
Post a Comment